আইওয়া ককাস : প্রার্থীদের ভাগ্য যাচাইয়ের মহারণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের মহারণ শুরু হচ্ছে আইওয়া রাজ্য দিয়ে। মার্কিনিদের চোখ এখন আইওয়ার দিকে। কে পাচ্ছেন আইওয়াবাসীর সমর্থন?

ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা হিলারি ক্লিনটন আইওয়ার ককাসে জিতবেন তো? না কি বার্নি স্যান্ডার্স নতুন চমক দেখিয়ে হিলারিকে পেছনে ফেলবেন? ডেমোক্রাটদের ভেতরে এ নিয়ে শেষ সময়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প আইওয়ার ককাসে শেষ হাসি হাসতে পারবেন তো? না কি আইওয়ার রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা টেড ক্রুজকে তাদের নেতা হিসেবে বেছে নেবেন? অথবা জেব বুশ জাদু দেখাবেন?

আইওয়ার ককাস নিয়ে আগে ভাগে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ আইওয়ার ককাসকে সব প্রার্থী সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে আইওয়ার জয়-পরাজয় অন্য রাজ্যের ভোটার-সমর্থকদের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে আইওয়ার ককাসের পর কোনো কোনো প্রার্থী তার জনপ্রিয়তার মাপকাঠি ঠিক করেন এবং কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় আইওয়া ককাস প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও ঠিক করে দেয়। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা) আইওয়া রাজ্যে ককাস শুরু হবে।

রোববার প্রার্থীরা সবশেষ শক্তি দিয়ে নির্বাচনী র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে। হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে তার নির্বাচনী কর্মীরা ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে। পাশাপাশি ৭৪ বছর বয়সি বার্নি স্যান্ডার্স শেষ সময়ে সমর্থকদের দৃষ্টিতে আসার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন। আইওয়ার ককাসে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হিলারি ও স্যান্ডার্সের মধ্যে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প ও টেড ক্রুজের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে ভিন্ন কিছুও ঘটে যেতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই