আইএসে যোগ দিয়েছে ৯ ব্রিটিশ মেডিকেল শিক্ষার্থী

চরমপন্থি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা দিতে সিরিয়া গেছে নয় ব্রিটিশ মেডিকেল শিক্ষার্থী। ব্রিটিশ দৈনিক অবজারভার শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এ সব শিক্ষার্থী জম্মগতভাবে ব্রিটেনের নাগরিক। তাদেরকে সুদানের একটি মেডিকেল কলেজে পড়তে পাঠানো হয়েছিল।

পত্রিকাটি জানিয়েছে, সিরিয়া যাওয়া নয়জনের মধ্যে রয়েছে চারজন ছাত্রী এবং পাঁচজন ছাত্র। স্বজনদের কাছে সিরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনার কথা গোপন রেখে এ সব শিক্ষার্থী গত ১২ মার্চ সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছায়। সেখান থেকে একদিন পর বাস করে সিরিয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৯ বছরের লিনা মাউমুন আব্দুল কাদির তার বোনকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জানায়, সে সিরিয়ায় হতাহতদের সাহায্য করতে স্বেচ্ছাসেবী হতে চায়। এরপরই পুরো বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের গোচরে আসে।

অবজারভার এসব ছাত্র-ছাত্রীর নাম পরিচয়ও প্রকাশ করেছে। এরা হচ্ছে- লিনা মাউমুন আব্দুল কাদির, নাদা সামি কাদের, রওয়ান কামাল জয়নুল আবেদিন, তাসনিম সুলায়মান হোসেইন, ইসমাইল হামাদুন, তামের আহমেদ আবু সেবাহ, মোহাম্মাদ উসামা বাদরি মোহাম্মাদ, হিশাম মোহাম্মাদ ফাদাল্লাহ এবং সামি আহমেদ কাদির। তাদের সবার বয়স ২০ বছর অথবা তার চেয়ে কম।

তুরস্কের বিরোধী রাজনীতিক মেহমেত আলী এদিবগ্লুর অবজারভারকে জানান, ‘আমরা ধারণা করছি এসব শিক্ষার্থী সিরিয়ায় আইএস নিয়ন্ত্রিত তেল আবিয়াদ এলাকায় রয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে, তাই সেখানে মেডিক্যাল সেবা প্রয়োজন।’

ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তারা এখন তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে রয়েছেন।

এদিবওগ্লু জানান, ‘আমার এবং এসব ছাত্র-ছাত্রীদের স্বজনদের বিশ্বাস তারা প্রতারণার শিকার এবং তাদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই