আইএসের হাত থেকে ফাল্লুজা উদ্ধার

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের হাত থেকে ইরাকের ফাল্লুজা মুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। তিনি বলেছেন, ফাল্লুজার বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়েছে ইরাকি বাহিনী। অভিযান এখনো চলছে।

২০১৪ সালে রাজধানী বাগদাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইরাক সরকার। তার কয়েক মাস পর ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলেরও দখল নেয় আইএস।

শুক্রবার ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক বক্তব্যে আবাদিকে বলতে শোনা যায়, আমরা ফাল্লুজার স্বাধীনতার ওয়াদা করেছিলাম এবং সে ওয়াদা পূরণ করেছি। এই শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে, ছোট ছোট কিছু অংশ বাদে। সেগুলোও অল্প সমেয়র মধ্যে দখলে চলে আসবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আবাদি লিখেছেন, ফাল্লুজা ফিরে পেয়েছে মানুষ। পরের যুদ্ধটা হবে মসুল উদ্ধারে। দায়েশের (আইএস) পতন হবেই।

শুক্রবারই ফাল্লুজায় ঢুকে পড়ার কথা জানিয়েছিল ইরাকী বাহিনী। তারও চার সপ্তাহ আগে এই শহর উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে অভিযান শুরু হয়।

এই অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লে. জেনারেল আব্দুলওয়াহাব আল-সাদি এএফপিকে জানিয়েছেন, কাউন্টার টেরোরিজন সার্ভিস এবং র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স শহরের কেন্দ্রে থাকা সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ওই ভবনের উপরে এখন ইরাকের পতাকা উড়ছে; যা ফাল্লুজায় সরকারি নিয়ন্ত্রণের কথাই বোঝাচ্ছে।

জেনস টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টারের ম্যাথিউ হেনম্যান বলছেন, বিরাট এই সাফল্যের পরও আইএস থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে বা ভবিষ্যতে হামলা ঠেকাতে আরো অনেক সময় লাগবে।

আইএসের হাত থেকে ফাল্লুজা উদ্ধারে অভিযানটি মূলত চালাচ্ছে সরকারি ও শিয়া বেসামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে তাদের সাহায্য করছে।



মন্তব্য চালু নেই