আইএসকে সমর্থন সাদ্দাম-কন্যার
ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক সাদ্দাম হুসেনের পতন হয়েছে ২০০৩ সালে। কিন্তু এখনো সাদ্দাম হুসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদের শিরোনাম হন। এবার কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে ফের খবরে এলেন জর্ডানে নির্বাসিত থাকা সাদ্দাম হুসেনের কন্যা রাঘাদ হুসেন।
রাঘাদ বেশ ফ্যাশনদুরস্ত। শরীরের বাঁধন অটুট রাখতে অসংখ্য কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন। গয়নাসম্ভার নিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তর জল্পনা শোনা যায়। পাশ্চ্যাতের সাজসজ্জাও বেশ পটু তিনি।
এহেন ফ্যাশন-দুরস্ত সৌখিন মেজাজের রাঘাদ আচমকা আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আসলে তার মতোই সাদ্দামের অধুনা বিলুপ্ত ‘বাথ পার্টি’র প্রাক্তন নেতারাও আইএসকে সমর্থন করছেন। শুধু তাই নয়, উত্তর ইরাক দখল করতে জঙ্গিদের সাহায্য করছেন তাদের কেউ কেউ। সাদ্দামের জন্মস্থান তিকরিত আইএস দখল করার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন রাঘাদ।
সম্প্রতি ইরাকি সংবাদপত্রে তিনি বিবৃতি দেন, ‘এই জয় আমার বাবার হাতে তৈরি যোদ্ধাদের জয়।’ আসলে প্রবাসে বসেও পিতৃ-স্মৃতিতে বিভোর রাঘাদ মনে-প্রাণে সাদ্দামেরই স্বপ্ন দেখেন।
জানা গিয়েছে, সেই সব অলংকারের ডিজাইন নিজেই তৈরি করতে পছন্দ করেন তিনি। তবে শুধু নিজের জন্যই নয়, সেখানে দস্তুরমতো গয়নার ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন সাদ্দাম-কন্যা।
১৯৮৩ সালে সাদ্দামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রিপাবলিকান গার্ড প্রধান হোসেন কামেল আল-মজিদকে বিয়ে করে সংসার পাতেন রাঘাদ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রথম সন্তান আলির জন্ম দেন তিনি। এরপর আরো তিনটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সাদ্দাম হোসেন তার স্বামী আল-মজিদকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন।
২০০৩ সালে ইরাকের পতন ও সাদ্দাম নিরুদ্দেশ হওয়ার পর বাগদাদের প্রাসাদ ছেড়ে জর্ডনে পালাতে বাধ্য হন রাঘাদ।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই