আইএস’এ আকৃষ্ট করতে ব্যবহৃত হচ্ছে সোনুর ‘আজান’ টুইট!
কয়েকদিন আগেই মসজিদ থেকে (আজান) লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগম। আর সোনুর সেই টুইটকে এবার হাতিয়ার করে সংখ্যালঘু যুবকদের মগজধোলাই করতে নেমে পড়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামি স্টেট (আইএস)।
সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যদের জেরা করেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
দুই বছর আগে উত্তরপ্রদেশের দাদরি গ্রামে গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে মুহাম্মদ আকলাখ (৫০) কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে সোনুর টুইট নিয়ে যারা আবেদতাড়িত হয়ে বিভিন্ন বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করছেন বা ধর্মীয় আলোচনা করছেন, মূলত সেই সব সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেছে আইএস।
ভারতের এক তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান ‘যে সব ব্যক্তিরা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বেশি সরব হচ্ছে তাদেরকেই টার্গেট করছে আইএস। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের কমেন্টের ওপর নজরদারি করছে জঙ্গি সংগঠনটি। এরপরই সেইসব সংখ্যালঘু যুবকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করানো হচ্ছে’।
যদিও এই জঙ্গিদের সাথে আইএস-এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকার এখনও কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ হাতে আসেনি তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি আইএস জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্যক্তিরা নিজেরাই আইএস-র মতাদর্শে দিক্ষীত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারই ভারতের একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বড়সড় আইএস চক্রের হদিস পায় গোয়েন্দারা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী শাখা (এটিএস) ও দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে মুম্বাই, লুধিয়ানা এবং বিজনোর-এই তিন জায়গা থেকে সন্ত্রাসীমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে আটক করে। এছাড়াও আরও ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান প্রথমে ইসলামের মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরই খুঁজে বের করা হতো। এরপর টেলিগ্রাম কিংবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতো নিয়োগকারীরা।
সূত্রে খবর নিজেদের দলে টানার আগে ওই সংখ্যালঘু যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তাদের ইসলাম ধর্মের জ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হতো। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই যুবকদের মগজধোলাই শুরু করে এই জঙ্গিরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করাই এদের লক্ষ্য ছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আইএস সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ভারতে ৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই