অমর ভ্লাদিমির পুতিন!

অমরত্বের সন্ধানে দীর্ঘকাল ধরেই মানুষ অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্র থেকে শুরু করে অধিবিদ্যায় পর্যন্ত অমরত্ব লাভের চেষ্টা করে চলেছে মানুষ। কিন্তু এতকিছুর পরেও এখনও চিরসবুজ অমরত্বের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রায় একশ বছরের পুরনো এক আলোকচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৃষ্টি করেছে অমরত্ব নিয়ে নতুন বিতর্ক। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রে আছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
১৯২০ সালে তোলা রুশ এক সৈনিকের আলোকচিত্র সম্প্রতি উঠে আসে, যার চেহারা দেখতে অবিকল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো। শুধু তাই নয়, ১৯৪১ সালে অপর এক রুশ সৈনিকের ছবিও তোলা হয়েছিল এবং সেই ছবিতেও যাকে দেখা যাচ্ছে তার চেহারার সঙ্গেও পুতিনের চেহারার অনেক মিল। এই আবিষ্কারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুতিনকে অমরসহ আরও নানান শব্দে ভূষিত করা হচ্ছে।
অবশ্য পুতিনকে অমর ভাবার রসদ রয়েছে খোদ রুশ মিথ সাহিত্যে। রুশ উপকথায় এরকম এক অমর ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যিনি সময়কে অতিক্রম করা এবং নিজের বয়স নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। তাই আজ যদি কোনো রুশ তরুণ-তরুণী তাদের প্রিয় নেতাকে অমর বলেন, তবে কি সেটা খুব বেশি অতিরঞ্জিত হবে? অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ছবি দেখে একটু নড়ে চড়েই বসতে পারেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্টরা যা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেন না, তা আজও করে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খালি গায়ে ঘোড়ায় চড়া থেকে মুষ্টিযোদ্ধার সঙ্গে লড়াই পর্যন্ত করেন তিনি। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে ৬৩ বছর বয়সী কোনো ব্যাক্তির পক্ষে এভাবে শারিরীক পরিশ্রম করা সম্ভব হয় না। কিছুদিন আগেই এক ছবি প্রকাশিত হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে, সেখানে দেখা যায় পুতিন একটি শক্তিশালী কুমিরের সঙ্গে লড়াই করছেন।
ডিসক্লেসডকটিভি নামের একটি গণমাধ্যম বলছে, ‘একদল রুশ তাদের নেতাকে ঈশ্বর এবং অমর হিসেবে দেখাচ্ছে। তাই তারা গল্প দাড় করাচ্ছে যে তাদের প্রেসিডেন্ট আসলে পৌরাণিক কোনো জীব যার বয়স কয়েক হাজারের বেশি।’ অপর একদল বিশ্বাস করে, পুতিন মূলত ন্যাড়া বা চুলহীন, যার জন্ম ১৪৩১ সালে এবং একজন ড্রাকুলা হিসেবে পরিচিত।
গত জুনে বাজফিড নামের অপর একটি গণমাধ্যম জানায়, পুতিন লিসা গেরারদিনিতে থাকতেন এবং লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিখ্যাত মোনালিসা আঁকার সময় পুতিন সেখানে ছিলেন। ১৫০০ সালের পরেই মূলত পুতিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আত্মগোপনে যাবার। অথবা পুতিন সময়কে অতিক্রম করে পেছনে গিয়েও থাকতে পারেন। যদিও বিকল্প এই গণমাধ্যমগুলোর কোনো দাবিই প্রমাণ করা যায়নি। তবে যাই হোক, ৬৩ বছর বয়সী পুতিন বেশ শক্তিমত্তার সঙ্গেই ঘোড়ার পিঠে খালি গায়ে রাশিয়া শাসন করে যাচ্ছেন।
































মন্তব্য চালু নেই