অভ্যুত্থানে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডের কথা ভাবছে তুরস্ক

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ভাবছে তুরস্ক সরকার। তবে এ জন্য বিরোধী দলগুলোর মতামতও নেওয়া হবে।
দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের কোন বিধান নেই। তবে শুক্রবার সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর বিদ্রোহী সেনাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠছে। বিশেষ করে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেওয়া জনগণের পক্ষ থেকে এ দাবি উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
রবিবার তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জনগণ যা বলে তারই ভিত্তিতেই। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সরকার একটি সিদ্ধান্ত নেবে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, অভ্যুত্থানকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ইস্তাম্বুলে তুরস্কের জনগণ আন্দোলন করে। জনাকীর্ণ সেই আন্দোলনে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা দেরি করতে পারি না। যারা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তাদের সবাইকেই চরম মূল্য দিতে হবে।’
শুক্রবারের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর এরদোয়ানের অনুসারীদের পক্ষ থেকে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হচ্ছে।
২০০৪ সালে তুরস্ক আইন সংস্কার করে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার লক্ষ্যেই এই সংস্কার করা হয়েছিল তখন।
নতুন করে মৃত্যেদণ্ডের আইন করা হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নতুন করে বাধার মুখে পড়তে পারে তুরস্ক।
এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ব্যাপারে দোষারোপ করে আসছেন।
মন্তব্য চালু নেই