অভিবাসীকে মানুষ হিসাবে গণ্য করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রত্যেক অভিবাসীকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপাদানের পরিবর্তে একজন মানুষ হিসাবে বিবেচনা করুন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)সূত্রে জানা যায়।

সোমবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ‘২০১৫- পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় অভিবাসন সংক্রান্ত দুদিন ব্যাপী বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞ সভায় ’ এ আহ্বান জানান তিনি। এবার বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভিবাসীকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কার্যক্রম বা উৎপাদনের উপাদান হিসেবে দেখলে চলবে না। তাদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হবে। অন্যান্য নাগরিকের মত তাদের জন্যও সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সমাজ এবং অর্থনীতি বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের সঙ্গে মৌলিক সেবার চাহিদা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। যা বৈশ্বিক মানব স্থানান্তর গতিধারাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। পাশাপাশি অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের মত বিষয়গুলো জোরালো হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য সব উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই জনগণকে রাখতে হবে। জনগণের মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এটা সমানভাবে প্রযোজ্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিনিধি স্যার পিটার সুথারলেন্ডনের একটি ভিডিও বার্তা অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরো নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক এবং কল্যাণমূলক করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অভিবাসীদের বিশেষ করে নারী ও বালিকাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য গুণগত মৌলিক শিক্ষা, ভকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই