প্রয়োজনে বুয়েটের শিক্ষক ফারসীমকে জিজ্ঞাসাবাদ
অভিজিৎ হত্যা এখনো ক্লু-লেস
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনো ক্লু-লেস। এ কারণে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। প্রয়োজন হলে বুয়েটের শিক্ষক তারিক ফারসীম মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডটি ক্লু-লেস হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
‘জনসম্মুখে ঘটা একটি হত্যা কীভাবে ক্লু-লেস হয়’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটি সবার সামনে ঘটেছে ঠিক আছে। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। ঘটনার সময় কয়জন ছিল, তারা দেখতে কেমন- এ সব তথ্য কেউ দিতে পারেনি।
তবে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা তদন্ত কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে। অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে।
বুয়েট শিক্ষক তারিক ফারসীম মান্নানের বিষয়ে অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের সন্দেহ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি। প্রয়োজন হলে বুয়েটের ওই শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যায় দু’জন অংশ নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করলেও এতে আরও কয়েকজন জড়িত বলে আমরা ধারণা করছি।’
হত্যার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মূলত তার লেখালেখি ও মুক্তচিন্তার কারণে যাদের কাছে ভাল লাগেনি তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে তাদের মধ্য থেকে কারা হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে দুবৃর্ত্তদের চাপাতির আঘাতে অভিজিৎ রায় নিহত হন। একই ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন।
মন্তব্য চালু নেই