অন্যরকম ডাকাত!

এ এক অন্যরকম ডাকাত। ডাকাতি করতে এসে ভোজালি চালিয়েছিল, তারই কোপ হাতে লেগে যায় গৃহস্বামীর। আর তা দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন তার মেয়ে। ঘটনায় দ্রুত অনেকটা সিনেমার মতোই বদলে যায় দৃশ্যপট।

সেই ডাকাতই গৃহস্বামীকে টেনে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। এ তাক ও তাক হাতড়ে খুঁজে বের করে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম। ক্ষতে তা লেপে দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে বাইরে থেকে শিকল তুলে দেয়। এরপর নির্বিঘেœ ডাকাতি সম্পন্ন করে সটকে পড়ে। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ধনেখালির পোড়াবাজারের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

বুধবার হাসপাতালে শুয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে গৃহস্বামী জয়ন্ত হালদার জানান, রাতে তারা তখন খাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন। খুটখাট শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। কী হচ্ছে দেখতে দরজাটা সামান্য ফাঁক করতেই তাকে ধাক্কা মেরে আট জন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাত বেঁধে সিঁড়িতে শুইয়ে দিয়ে নীচে চলে যায়। স্ত্রী ও মেয়েকে অস্ত্র দেখিয়ে হাতের-কানের সোনার গয়না ছিনিয়ে নেয়। আলমারির চাবি কেড়ে নিয়ে লুটপাট চালায়।

খানিক বাদেই হাতের বাঁধন খুলে নীচে নেমে আসেন জয়ন্ত। বাধা দিতে গেলে এক ডাকাত ভোজালি দিয়ে তার মাথার এক পাশে আঘাত করে। তিনি পড়ে যেতেই গলা লক্ষ করে ফের ভোজালি চালায় ডাকাতটি। তা আটকাতে গেলে কোপ এসে পড়ে জয়ন্তর বাঁ কবজিতে। রক্ত ঝরতে থাকে। ভয়ে চিৎকার করে ওঠে তার মেয়ে। এরপর ডাকাতটি জয়ন্তকে রান্নাঘরে নিয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন জয়ন্ত। ফলে দ্রুত কেটে পড়তে হয় ডাকাতদের।



মন্তব্য চালু নেই