অদ্ভুত সমস্যায় স্কুলছাত্রী বীথি, সাহায্যের আবেদন

নাম বীথি আক্তার। বয়স ১২। টাঙ্গাইলের স্থানীয় জয়ভোগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সবই চলছিল ঠিকঠাক। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় হঠাৎই যেন ওলট-পালট হয়ে গেল সবকিছু। মুখমণ্ডলসহ বীথির পুরো শরীর এখন ঢাকা বড় বড় পশমে। স্তনের আকার বাড়তে বাড়তে এখন তা বহন অযোগ্য। অদ্ভুত এ সমস্যায় কিশোরী বীথির স্বাভাবিক জীবন যাপনের সকল পথ যেন রুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

জন্মের পর থেকেই বীথির শরীরে বড় বড় পশম দেখা দেয়। সেই অবস্থায়ই লেখাপড়া চালিয়ে যায় মেয়েটি। গত এক বছরে বীথির শরীরে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন তা নেমে গেছে পেটের নিচ পর্যন্ত। স্তনের ভারে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করে সবসময় কান্নাকাটি করে। অবশেষে দিনমজুর বাবা মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে ঋণ করে মেয়েকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। কিন্তু, ডাক্তার জানালেন, টাকা দরকার আরও অনেক বেশি। অসহায় বাবা এখন টাকার জন্য হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বীথি বর্তমানে হরমোন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন-হরমোনজনিত কারণে তার এ সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসায় এ সমস্যা কিছুটা দূর হবে। কিন্তু প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

বীথির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‌‌”বীথিকে নিয়ে খুবই বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। বীথি আমার বড় মেয়ে। জন্ম থেকে পশমের সমস্যা ছিল। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এ অবস্থায় সে পড়ালেখা চালিয়ে গেছে। কিন্তু গত বছর থেকে তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন এর ব্যথায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।”

তিনি বলেন, ”টাঙ্গাইলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল (অন্যের) চালিয়ে যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে যায়। বীথির চিকিৎসার জন্য ব্যাংক থেকে ২০ হাজার ও মানুষের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। সে টাকাও শেষ। সহায়-সম্বল বলতে আছে মাত্র বাড়ির জমিটুকু।”

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ”মুখে যেমন পশম দেখছেন, তেমনি বীথির সারা শরীর পশমে ঢাকা। ১১ বছর বয়সে তার ঋতুস্রাব হয়েছে। এই এক বছরে তার স্তন এত বড় হয়েছে যে, সে ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। সেই চিকিৎসাও ডাক্তাররা করবেন বলেছেন। কিন্তু টাকার দরকার অনেক।”

আব্দুর রাজ্জাক তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও বড় মনের মানুষদের সহায়তা কামনা করেছেন। বীথির জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে এই বিকাশ নাম্বারে : 01720366783



মন্তব্য চালু নেই