অজানা হতাশায় ভূগছে গাইবান্ধার ১লাখ ডিস্ট্রিবিউটর ও গ্রাহক
গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টি লেভেল মার্কের্টিং (এমএলএম) কোম্পানী ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর কমপক্ষে ১লাখ ডিস্ট্রিবিউটর বা গ্রাহকরা মাল্টিপারপাস শেয়ার, ট্রিপ্যাকেজ ও বিভিন্ন খাতে জমাকৃত অর্থ ফেরৎ পাওয়ার অজানা হতাশায় দিন গুনছে । নতুন কয়েকটি কোম্পানি নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স পেলেও ডেসটিনি কোম্পানী ব্যবসার অনুমতি না পাওয়ায় তাদের দলনেতারা নিরাশার মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে। দুদকের দেয়া মামলা কোম্পানির রফিকুল আমিন ও আজাদকে আটকের পর তারা ছাড়া না পাওয়ায় আতঙ্ক আরো বেশী ছড়িয়ে পড়ছে।
গ্রাহকরা বিভিন্ন শেয়ার, ট্রি-টাওয়ার প্যাকেজ বিপরিতে অধিক মুনাফার আশায় জেলার ধনী গরিব তাদের কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা ডেসটিনিতে বিনিয়োগ করেছে। সাধারন ডিস্ট্রিবিউটরা যে যার মারফতে ভর্তি হয়েছে তাদের নিকট চাপ দিচ্ছে টাকার জন্য। সকলের টাকা কোম্পানীতে জমা থাকলেও সাধারন গ্রাহক তা বুঝছেনা। অনেক নেতাই সদস্যদের চাপে গাঢাকা দিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার কেহ দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থেকে ডেসটিনি চালু না হওয়ায় নতুন অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিতে কাজে লেগে গেছে। তবে সেখানে ভালো করতে পারছেনা বলে জানা গেছে।
জনগনের টাকা সরকার বুঝে নানিয়ে কোম্পানী বন্ধ করে দেয়া অধিনস্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের চাপ বেড়ে গেছে। ডেসটিনির কোন কোন অফিস খোলা থাকলেও সেখানে গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নদীভাঙন কবলিত এলাকা গাইবান্ধা জেলার কমপক্ষে ১ লাখ ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে। তাদের মাঝে ৮টি পিএসডি ও শতাধিক প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার পদের লিডার রয়েছে। একজন পিএসডির কমপক্ষে ১২ হাজার সদস্য.সর্বনিম্ম সিলভার পদের ব্যাক্তির সাথে ১হাজার গ্রাহক রয়েছে। শত শত গ্রাহক জানায় ২০০০ সালে কোম্পানীর প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রায় ১যুগ কাজ করেছিল।
তাদের আয়ের টাকায় শতকরা ৫ টাকা, পরে ৭টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বশেষ ২০১১ সালে ১০টাকা করে সরকারকে আয়কর দিয়েছে। আরো জানান, ডেসটিনির বিভিন্ন সভা সেমিনারে এমপি মন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গর্ভনরসহ সমাজের বিবেকবান মানুষ গুলোর আলোচনা ও পর্যালোচনা দেখে আমারা উৎসাহিত হয়েছি। তাদের উৎসাহ ও বিভিন্ন বিভাগের ব্যবসায় অনুমতির কাগজ দেখে কোম্পানীতে কাজ শুরু করি। প্রথমে নিজে ভর্তি হই এবং পরে আপনজনদের সদস্য করি। অনেকেই জানান, লেখাপড়া শিখে যখন চাকুরির জন্য বিভিন্ন অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে কাজ পাইনাই তখন ডেসটিনির সেমিনার দেখে যোগদান করি। নিজেরাও বড় বড় স্বপ্ন দেখতাম, গ্রাহকদের দেখাতাম। কিন্তু আজ আমরা হতাশার মাঝে দিন কাটাচ্ছি।
মন্তব্য চালু নেই