সাদুল্যাপুরের ২ নেতা ১০ দিন হাত-চোখ বাঁধা ছিলেন

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নিখোঁজ দুই নেতা ১০ দিন অজ্ঞাত স্থানে হাত-চোখ বাধা অবস্থায় আটক ছিলেন বলে দাবি করেছেন। কারা, কেন- তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তারা।

এরা হলেন- সাদুল্যাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মনোয়ারুল হাসান জীম মন্ডল ও দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসলাম সাদেক।

তারা বলেন, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে তারা দুইজন মোটরসাইকেলে করে সাদুল্যাপুর থেকে লালবাজার হয়ে নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়নের কাছে যাচ্ছিলেন। পথে ১০-১২ জন একটি মাইক্রোবাসে তাদের তুলে নেয়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে আলাদা ঘরে হাত-চোখ বেঁধে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হতো। এদের কাউকে তারা চিনতে পারেননি। কেনই বা তাদের তুলে নেওয়া হলো তাও তারা অবগত নন বলে জানান জীম ও সাদেক। এ সময় তাদের কাছে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয়নি।

গত বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দেওয়া হয়। এরপর ওই মোটরসাইকেল চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি ফেরেন তারা।

দুই নেতার সন্ধান মিললেও অপর নিখোঁজ নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নলডাঙ্গা থেকে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি তাদের স্বজনদের।

তাদের সন্ধান দাবিতে সাদুল্যাপুরে হরতাল-অবরোধ ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাদের স্বজন-সহকর্মী ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস দুইজন উদ্ধার ও বাড়িতে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজ অপর দুই নেতার সন্ধানে সার্বিক চেষ্টা অব্যাহত আছে।



মন্তব্য চালু নেই