তিমি হত্যার করার র্নিমম এক মহোৎসব (ভিডিও)
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহদাকার প্রাণীর মধ্যে তিমি অন্যতম। সমুদ্রের এই বিশাল অথচ নীরিহ প্রাণীটিকে নিয়ে গল্পের শেষ নেই। একটা সময় ছিল যখন সমুদ্রে ভ্রাম্যমান জাহাজগুলো তিমি মাঠকে মনে করতো সাক্ষাত দৈত্য। যদিও প্রযুক্তি আর মানুষের বোঝাপড়ার উন্নয়নে এখন আর তিমি কোনো ভয়ঙ্কর প্রাণী নয়। উল্টো তিমির কাছে এখন মানুষই ভয়ঙ্কর। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অর্থ ও খাবারের কারণে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক তিমিকে হত্যা করা হয়। এই তিমি হত্যায় এগিয়ে আছে দুটি দেশ জাপান ও ডেনমার্ক।
গত ২৪ জুলাই ডেনমার্কের বিতর্কিত ফারো দ্বীপে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাৎসরিক তিমি হত্যা উৎসব। দ্বীপটির বোর এভং তোরসাভান সৈকতে কমপক্ষে আড়াইশ তিমিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হার্পুণ আর ধারালো ছুরি নিয়ে একের পর এক পাইলট তিমিগুলোকে হত্যা করেছে। এই বিপুল সংখ্যক তিমির রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল ফারো দ্বীপের চর্তুপাশ।

তিমি হত্যার এই অমানবিক মহোৎসবটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণকারী সংগঠন সী শিপার্ড। সংগঠনটি বর্বরতার নথি রাখার প্রমাণ হিসেবে পুরো হত্যাযজ্ঞটির ভিডিওচিত্র ধারণ করে। ধারনকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, গভীর সমুদ্র থেকে কিভাবে পাইলট তিমিদের তাড়া করে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসা হয়। ইঞ্জিনচালিত নৌকা আর শ্যান্টি জাহাজে করে তিমিদের তাড়া দেয়া হয়। তিমিরা নৌকা ও জাহাজ থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য সৈকতের দিকে ছুট দেয়। কিন্তু তিমিদের তো জানার উপায় নেই যে, সৈকতে তাদের হত্যাকারীরা হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে অপেক্ষা করছে।

ভিডিওতে তিমি শিকারীদের হাস্যরত অবস্থায় দেখা যায়। তারা যে মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক জঘণ্য কাজ করছে এবিষয়ে তাদের মধ্যে কোনো বিকার নেই। উল্টো বিভিন্ন প্রকার নিষ্ঠুর কায়দায় তারা তিমি শিকার করতে থাকেন। অনেকেই দেখা যায়, তিমির ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছে এবং ক্ষত থেকে বের হওয়া রক্ত পান করছে। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন ডেনমার্কের সরকারের উদ্দেশ্যে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য জোরালো আবেদন জানায় কিন্তু ড্যানিস সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। উল্টো গতকাল সৈকতে যারা এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল, পুলিশ সদস্যরা তাদের সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়।

সী শিপার্ড কর্মীদের স্থানীয় ক্যাপ্টেন ওয়ান্ডা লুবলিঙ্ক জানান, যখন সৈকতে গতকাল তিমি হত্যা করা হচ্ছিল তখন কিছুটা দূরেই সমুদ্রে প্রহরারত অবস্থায় ছিল এইচডিএমএস ট্রাইটন এবং এইচডিএমএস রাসমুসেন নামের দুইটি ড্যানিস জাহাজ। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে তিমি শিকারীদের কোনো বাধা দেয়া হয়নি। লুবনিস্কের মতে, ড্যানিস সরকার তিমি নিধন বন্ধতো করবেই না, উল্টো তিমি যাতে ভালোভাবে নিধন করা যায় সেদিকে নজর রাখবে।
ভিডিও:
https://youtu.be/pWR-bCXBJ0s

















মন্তব্য চালু নেই