‘জামায়াত মতাদর্শ থেকে জঙ্গি হন আবু’

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পরিচালিত অপারেশন ঈগল হান্ট চলাকালে নিজেদের বোমা বিস্ফোরণে নিহত রফিকুল ইসলাম আবু ওরফে আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু শ্বশুরবাড়ির লোকদের দ্বারা জঙ্গি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামায়াত-শিবিরের মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন।

শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকদের দ্বারা আবু জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামায়াত-শিবিরের মতাদর্শে বিশ্বাসী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামের ওই বাড়িটি জঙ্গিদের অস্ত্র ও গোলা-বারুদের স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িটি থেকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠানো হত।বর্তমানে নব্য জেএমবির বড় কোনো হামলা বা নাশকতার পরিকল্পনা না থাকলেও আগামীতে দেশে কয়েকটি টার্গেট ভিত্তিক নাশকতা চালানোর পরিকল্পনায় তারা সেখানে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ মজুদ রেখেছিলো।

তিনি বলেন, নব্য জেএমবি’র আরও কিছু আস্তানা থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং দেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে সেসব আস্তানা চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেইসব আস্তানাতেও অপারেশন করে নব্য জেএমবিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এরআগে শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামের ওই বাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’সন্দেহে গত বুধবার অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় শুরু হওয়া সোয়াটের অপারেশন ঈগল হান্ট। ঈগল হান্ট চলাকালে নিজেদের বোমা বিস্ফোরণে রফিকুল ইসলাম আবু ওরফে আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুসহ চারজন নিহত হন।

সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় আবুর স্ত্রী সুমাইয়া ও শিশুকন্যা নুরিকে। সুমাইয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই