নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি

সংবিধান ও কর্তৃত্ববহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টিএম মোজাহিদুল ইসলাম হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন।

সশরীরে রোববার সকালে তিনি আদালতে হাজির হন। তার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘এ রকম আর কখনো হবে না। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এরপর আদালত এ সংক্রান্ত রুলটি নিষ্পত্তি করে দিয়ে এসপির আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান এ সংবাদের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

একই কারণে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব দিতে রোববার (৪ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

‘ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলুন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে?’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে শুক্রবার চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসপি মোজাহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।

সংবিধান বহির্ভূত এমন বক্তব্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ও কোনো অপরাধীকে মৃত্যু প্রদানে জনগণের উদ্দেশে উস্কানিমূলক কথা বলায় তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা রুলে জানতে চাওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, ডিআইজি রাজশাহী, ডিসি ও এসপিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই