দায়িত্ব গ্রহণের ৩ ঘণ্টা পর মেয়র কারাগারে

দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৩ ঘণ্টা পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামকে করাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নির্বাচিত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় হাইকোর্টের আদেশে তিনি রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর তার বিরুদ্ধে থাকা একটি বিস্ফোরক মামলায় দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। এ সময় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নজরুল ইসলামের আইনজীবী শফিক এনায়েতুল্লাহ জানান, এ বছরের ২ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় (সদর থানা মামলা নম্বর- ৩ ও জি আর ৪০৬/১৬ নবাব) হুকুমের আসামি করা হয় নজরুল ইসলামকে। সেই মামলায় তিনি দুপুর ১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিনি আরো জানান, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উচ্চ আদালতে আবারো জামিন আবেদন করবেন।

নজরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়ার আদেশ দেন। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশটি প্রতিপালনের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।

ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগের এ বছরের ৯ মার্চ প্রজ্ঞাপনমূলে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে তিনি ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নম্বর ৩৮১২/২০১৬। ওই রিট পিটিশনে বরখাস্তাদেশের ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ বাস্তবায়নের জন্য মামলার বাদী কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করেন। কনটেম্পট প্রসেডিং না হওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত মেয়রকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদানের জন্য বলা হয়।

গত বছর ৩১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩১ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে মো. নজরুল ইসলাম মেয়র পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু নাশকতাসহ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।



মন্তব্য চালু নেই