২০ লাখ দিলেই বোর্ড সেরা রেজাল্ট!

ভারতের বিহার রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার এই হাল! টাকা দিলেই বোর্ড সেরা হতে পারে স্কুলের একেবারে ব্যাকবেঞ্চার ছাত্রটিও। এ কারণেই তাহলে টিভি ক্যামেরার সামনে সেরা ছাত্ররা সাধারণ প্রশ্নেরও ভুলভাল উত্তর দেয়।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিহার স্কুল এগজামিনেশন বোর্ডের (বিএসইবি) সাবেক চেয়ারম্যান লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ। স্ত্রীর সঙ্গে মিলে এই কাজ করতেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, টাকার বিনিময়ে প্রায় একশ বেসরকারি কলেজ স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।

লালকেশ্বর স্বীকার করেন, অক্ষম ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় প্রথম করানোর জন্য মাথা পিছু ২০ লাখ রুপি করে ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া এখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা ইন্টারমিডিয়েট কলেজগুলোকে স্বীকৃতি দিতে নিতেন কলেজ পিছু ৪ লাখ রুপি।

বর্তমানে লালকেশ্বর ও তার স্ত্রী সাবেক এমপি অধ্যাপক ঊষা সিংহকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিএসইবি প্রধান থাকাকালে একশ’র বেশি কলেজকে স্বীকৃতি দেন লালকেশ্বর। এ বছর বোর্ডের এইচএসসি শ্রেণির পরীক্ষায় অক্ষম ছাত্রছাত্রীদের যে প্রথম হতে সাহায্য করে, সেই বাচ্চা রাইয়ের সঙ্গে লালকেশ্বর ও তার স্ত্রীর যোগসাজশ ছিল। কারাবন্দি বাচ্চা রাই বৈশালীর একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। পছন্দমত ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম করাতে তিনি লালকেশ্বরকে ২০ লাখ করে ঘুষ দিয়েছিলেন।

বিহার বোর্ডের এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে গত ৩০ মে। এইচএসসি পরীক্ষায় দুই সেরা রুবি রাই ও সৌরভ শ্রেষ্ঠ টিভি ক্যামেরার সামনে সাধারণ প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর দেন। এটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই প্রশ্ন ওঠে বিহারে লেখাপড়ার মান নিয়ে। তারপরেই এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা সংক্রান্ত বিরাট চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া কয়েকজন ছাত্রছাত্রী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে খুবই মামুলি প্রশ্নের ভুল ও হাস্যকর উত্তর দিয়েছে। এ নিয়ে সারা দেশেই ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। অবশ্য এটি নিয়ে আর সরকার মাথা ঘামায়নি।



মন্তব্য চালু নেই