১৯০০ সালের পরের ভয়াবহ ভূমিকম্প

শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় লণ্ডভণ্ড এখন নেপাল। বহু ভবন ধসে পড়ে সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পে শনিবার কেঁপে উঠে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের বিশাল এলাকা।

ইউএস জিওলজিকাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৫০ মাইল দূরে পোখরার কাছে ভূপৃষ্ঠের মাত্র ২ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র।

বিংশ শতকে যত ভূমিকম্প হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলোর উপর আলোকপাত করা হল।

মে ২২, ১৯৬০: দক্ষিণ চিলিতে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প এবং সুনামিতে অন্তত এক হাজার ৭১৬ জন নিহত হন।

মার্চ ২৮, ১৯৬৪: আলাস্কার প্রিন্ড উইলিয়াম সাউন্ড এলাকায় একটি ৯ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হন ১৩১ জন, এর মধ্যে ১২৮ জনই নিহত হন ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামিতে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০০৪: ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়া থেকে উৎপত্তি হয়ে ভারত মহাসাগরে সুনামি সৃষ্টি করে। সুনামির আঘাতে ১২টিরও বেশি দেশে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

মার্চ ১১, ২০১১: জাপানের উত্তর উপকূলে একটি ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সুনামির সৃষ্টি করে, এতে প্রাণ যায় ১৮ হাজার মানুষের।

নভেম্বর ০৪, ১৯৫২: ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প রাশিয়ার কামচাটকা এলাকায় আঘাত হানে। তবে এতে কোনো প্রাণহানি হয় নি। ভূমিকম্পের ফলে হাওয়াই উপকূলে ৩০ ফুট উঁচু ঢেউ দেখা যায়।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১০: ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প চিলিতে আঘাত হানে। এতে সৃষ্ট সুনামির ফলে ৫২৪ জন নিহত হন।

জানুয়ারি ৩১. ১৯০৬: ইকুয়েডর উপকূলে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে পাঁচশ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫: ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আলাস্কার র‌্যাট আইল্যান্ডে ১১ মিটার দীর্ঘ সুনামি সৃষ্টি হয়।

মার্চ ২৮, ২০০৫: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়।

অগাস্ট ১৫, ১৯৫০: তিব্বতে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হন ৭৮০ জন।

এপ্রিল ১১, ২০১২: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ২৪টি দেশে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়।

মার্চ ০৯, ১৯৫৭: আলাস্কার এনড্রোনোভ আইল্যান্ডে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে ১৬ মিটার (৫২ ফুট) উচ্চতার সুনামি সৃষ্টি হয়।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৭: ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮: ইন্দোনেশিয়ার বান্দা সমুদ্র এলাকায় ৮ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের আঘাতে সুনামি সৃষ্টি হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ১৯২৩: রাশিয়ার কামচাটকাতে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সুনামি সৃষ্টি করে।

নভেম্বর ১১, ১৯২২: ৮ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের প্রভাবে চিলি ও আর্জেন্টিনার সীমানা এলাকা সুনামি সৃষ্টি হয়। কোনো হতাহত না হলেও একে চিলির সমুদ্র উপকূল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অক্টোবর ১৩, ১৯৬৩: ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে কুড়িল আইল্যান্ডে সুনামি সৃষ্টি হয়।



মন্তব্য চালু নেই