সোহরাওয়ার্দীতে আ.লীগের সমাবেশ চলছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছে।

সোমবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।

সভা পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মঞ্চে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়াও মঞ্চের সামনে উপস্থিত আছেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুব মহিলা লীগের নাজমা আকতার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা অ্যাডভোকেট আবু কাওছারসহ অন্যান্য নেতারা সমাবেশে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখছেন।

দুপুর ১টার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুন, বাদ্য-বাজনা, মিছিলসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন। নেতা-কর্মীদের আনাগোনা এবং গাড়িবহরের কারণে হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বর, শাহবাগ হয়ে টিএসসি পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠছে। দলীয় নেতা-কর্মী এবং সর্বসাধারনরা উদ্যানের তিনটি গেট দিয়ে জনসভাস্থলে প্রবেশ করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রবেশ গেটগুলোয় আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে কড়া নজরদারিতে তল্লাশির মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

মঞ্চের সামনে নেতা-কর্মীদের জন্য হাজার হাজার চেয়ার পাতা রয়েছে। মঞ্চটির মুখ করা হয়েছে উদ্যানে অবস্থিত রমনা কালি মন্দিরমুখী।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতির উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে লন্ডন-দিল্লি হয়ে দেশে ফিরে আসেন জাতির পিতা। সেদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো লাখো জনতা উপস্থিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে এ বছর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের এক জরুরি বৈঠকে ১০ জানুয়ারির পরিবর্তে বিশ্ব ইজতেমার কারণে দুই দিন পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই