সুইডিশ মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে চীন

জাতীয় নিরাপত্তা বানচাল করার অভিযোগে আটক সুইডেনের এক মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিয়েছে চীন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বেইজিং ছেড়ে গেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

আইন ভঙ্গের অভিযোগে ৩৫ বছরের পিটার দাহলিনকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে আটক করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে তিনি সে দেশের সরকারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে আইন ভঙ্গের অভিযোগ স্বীকার করে নেন।

বেইজিংয়ের সুইডিস দূতাবাস তার চীন ত্যাগের খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। চাইনিজ আর্জেন্ট অ্যাকসন ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হলেন দাহলিন। এই সংস্থাটি চীনা আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও সুবিধা বঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।

গত ৪ জানুয়ারি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দাহলিনকে গ্রেপ্তার করে চীনা পুলিশ। গত সপ্তাহে চীনা সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে বিবৃতি দেন ওই সুইডিস নাগরিক। তিনি বলেন, চীনা সরকারের আইন অমান্য করে তিনি সে দেশের জনগণের মনে দুঃখ দিয়েছেন। তবে চীনা অ্যাকসন গ্রুপ বলছে, জোর করে তার কাছ থেকে ওই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

এদিকে দাহলিনের ছাড়া পাওয়ার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে চীনে আটক অপর এক সুইডিস নাগরিক গুই মিনহাইয়ের ছাড়া না পাওয়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হংকং পাবলিশিং হাউসের সঙ্গে জড়িত যে পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের একজন হলেন গুই। তিনি গত বছরের অক্টোবরে হংকং থেকে থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে তিনি হঠাৎ করেই চীনা টেলিভিশনে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে হাতে আটক করে।



মন্তব্য চালু নেই