বিদায় ১৪২১

রাত পোহালেই ‘নববর্ষ’

রাত পেরোলেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ঋতুরাজ বসন্তকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সর্বজনীন এ উৎসবকে স্বাগত জানাতে রাজশাহীবাসি প্রস্তুত। প্রাণের এই উৎসবে বাঙালি সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে প্রচেষ্টা চলছে জোরেসোরে। মনমুগ্ধকর মঞ্চসজ্জা, বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন রঙের বিন্যাসে আল্পনা আঁকা হয়েছে।

বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরতে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র। সব মিলিয়ে বর্ষবরণ উপলক্ষে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। তাই বর্ষবরণে বাঙালির এই উৎসব সামনে রেখে প্রস্তুতির কমতি নেই কারোই। রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে সর্বত্রই এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব।

প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পদ্মাপাড়ে পান্থা-ইলিশ, লালপেড়ে সাদা শাড়ি আর নানা কারুকাজের পাঞ্জাবিসহ বাঙালি খাবারের নানা আয়োজন নিয়ে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সবাই। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে সার্বজনীন এই উৎসবের অংশ হতে বিভাগীয় শহর রাজশাহীজুড়ে চলছে বর্ষবরণের শেষ মুহূর্তের জাঁকজমক প্রস্তুতি।

নগরজুড়ে উৎসব তো থাকছেই। এদিকে আনন্দঘন পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে শিশু পরিবারের শিশু ও কারাবন্দীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কলেজিয়েট স্কুল থেকে শিশু একাডেমি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রা শেষে শিশু একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

শিশু একাডেমি চত্বরে ১৪ ও ১৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বৈশাখী, শিশু আনন্দ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এদিন কারাগার, হাসপাতাল, শিশু পরিবার ও শিশু সদনে (এতিমখানায়) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে। শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কারাবন্দীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কয়েদীদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদির প্রদর্শনী করা হবে।

এছাড়া নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক একাডেমি তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এদিন সকাল-সন্ধ্যা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও জিয়া পার্ক সর্ব সাধারণের জন্য বিনা টিকিটে উন্মুক্ত থাকবে।



মন্তব্য চালু নেই