মূল্যহীন লেখার বোধ বোঝাতে প্রয়াস

মূল্যহীন বলতে আমরা কি বুঝি আর কোনো লেখা মূল্যহীন হয় কি ভাবে? কথায় আছে জ্ঞান সূর্যের আলোর থেকে তীব্র উজ্জ্বল। আসলে এ উক্তিটিও মূল্যহীন। যেহেতু বলেছি তাই এর ব্যাখ্যা আমি নিজে দিতে বাধ্য। যদি কেউ অনেক সুন্দর একটি প্রবন্ধ লিখলেন কিন্তু গতো রাতের ঝড়ে তা বৃষ্টির পানিতে বিজে গেলো, অথবা কোনো বিদ্যাহীন সেটি দিয়ে আগুন এনে মশার কোয়েল জ্বালালো, অথবা আপনাদের কাজের মহা ব্যস্থতায় সেটি পড়ে দেখবার সময় হলো না… ইত্যাদি হলে কি হবে? লেখিাটি মূল্যহীন বটে। তেমনি আজকে এখানে যা আছে তা সম্ভবত পূর্বেও কিছু আলোচনা হয়েছে কিন্তু আবার একটু শুরুটা নতুন করে উপস্থাপন করছি নতুন করে। কেননা, এবার যদি আরও একজন ভুল করে পড়ের তো তৃপ্তি পাবো।

আপনি চেয়ারে বসে বাজেটের ভেতরে শাšিততে থাকতে যেমন সুখ অনুভব করেন, মাথার উপরে সামান্য একটি ছাদ থাকলে বৃষ্টি বা রোদ থেকে কষ্ট পাননা, তাতেই তো সুখ পান। কিন্তু যার রাস্তা ছাড়া থাকবার উপায় নাই তার ব্যাপারটা আসলে ভাবাই মূল্যহীন, তাই বুঝি? যদি বড় আত্মীয় থাকে তা হলে গুরুতর অপরাধ করলে তা মীমাংসা হয়ে যাবে কিন্তু তা না হলে আইনের চোখে সুবিচার কাকে বলে দেখা যাবে। দরিদ্র কৃষক ঋণের টাকা শোধাতে না পারলে আইনের ধারায় ধারায় তার বিচার হবে, কন্তু নাদুস নুদুস সুন্দরী বা যুবক বিরামহীন গাড়ি চালাতে গিয়ে পথিককে মেরে গেলেও কোনো বিচার নাই। এক দরজা দিয়ে আসবে আর অন্য দরজা দিয়ে নাইট ক্লাবে পুল খেরবে। মহা গোপন শুরঙ্গ পথ।

জীবন বাঁচাতে আছেন বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তার আর সমাজ দেখাশোনায় আইন। আর সমগ্র তলানী থেকে জাগ্রত করতে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন। এখন আমাদের সারাদেশে যার সংখ্যা হাজার-হাজার। স্কুল কলেজের পরে ভর্সিটির সময়টা পার করে চাকরি বা নতূণ উদ্যোগে কিছু সৃষ্টি করবে। আর সেভাবে চলবে সমাজ। এ ধারা ঠিক থাকলে কোনো স্তরেই সমস্যা হবে না। অন্যান্য দেশের মতো এগিয়ে যাবে । কিন্তু কথা গুলোর মাঝেই দু:স্বপ্নরা খেলা করে আর টেনে নিয়ে যায় পরাজয়ের কঠিন সত্যের দিকে। কি করার থাকে না। অনিয়ম অন্যায় বাড়তে বাড়তে সেটাই হয়ে যায় আসল সত্য।

কোন বিষয় নিয়ে লেখা যায় আজকে নতূণ করে সেটাই বিবেচনা করার ঝামেলা। মানুষের মনটা যেন এখন পাথর, আর তা নিয়ে খেলা করে যাচ্ছে কিছু চটুর প্রকৃতির প্রাণীগুলো। ওরাও ওদখতে মানুষের-ই মতো। সব ছেড়ে নিজের ভালো করতে হবে। কিন্তু যে ডালে বসে আছি তা কেটে দিলে কি হবে তা নিয়ে বলার কোনো সময়নেই। আর সে জন্যই দিনদিন দেশটাতে কালো পানিতে জমে যাচ্ছে, পিছলে পড়ছে সমগ্র , তার খেয়াল নাই। বাজরের নিতি যেকোনো বই খুল্রেই অনেক কথা জানা যায়, আর ভুলতে সময় লাগে ক-এক সেকেন্ড মাত্র। রাজধানীতে কিছু সময় বৃষ্টি হলে রাস্তায় ছোট মাছ দেখা যায়, রূগী নিয়ে হাসপাতালে রউনা দিলে বলা যাবে না কখন পৌঁছাবে আর ডাক্তারের দেখা মিরবে। ম্যান হলে ঢাকনী আজকে দিলে রাতেই চুরি হয়ে যাবে গ্যারান্টিতে।

রাস্তার ফ্রাইওবারের সিঁড়ি গলোতে থাকে ভাঙা আর পা দিলেই একটা মানুষের ওজনে সমস্তটা কেপে ওঠে। আর বড় চেয়ারের মানুষগুলো কোনো প্রতিষ্ঠানে চেহারা দেখাতে গেলে সততার বিবরণ দিয়ে ওডিটরিয়ামটা শব্দে মুখরিতো করে দেবে ওনেক সুনিপুন ভাবে। সূত্র একটাই , আমি করবো , আর আমার নিয়ম ছাড় নিয়ম ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। আর কিছু দিন পরপর নিয়ম টা যদি একটু একেবেকে দেওয়া যায় তা হলে সাধারণ মানুষ তো অিনেক দূরে চলে যেতে বাধ্য। আর আমরা তো শান্তি প্রিয় জাতি। কার দায় পড়েছে সামান্য কিছু বলতে গেলে যদি আবার ঝামেলা হয়। সবাইতো বলে যায়, করে যেতে পরে ক’জনে। আর করবে কি ভাবে, নিয়মের সূতো চলতেচলতে চূল পেকে জীবন পার। তার থেকে ভালো যাঁরা আছেন ত্রাাই থাক।

কোন সরকার-ই চায় না তার দেশটা অসুস্থ থাকুক। আর তাই সরকারে দপ্তরে দপ্তরে কাজের তাগিদ। কিন্তু তার পরেও অস্থির কেনো আমাদের দেশ? কেনা আজও টেবিলের নিচের ব্যপারটা দূর হয়নি দেম থেকে। আমাদের দেশে অনেক উঁচু মাপের শ্রদ্ধেয় স্হপতি আর প্রকৌশলী আছেন। অনেক সৌভাগ্যের বিষয় যে, দেশের বাইরেও অনেকেই কর্মে নিয়োজিত। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ব্যাপকভাবে ট্রফিক ম্যানেজমেন্টে , পানি ডিস্ট্রিবিউশনে , নির্মাণে। সমস্যা টা কেনো হচ্ছে? অফিসিয়াল ত্রুটি, নাকি কজে সমস্যা, নাকি দুটোতেই ঝামেলা। কেনো কোনো কাজে খোলামেলা জনসাধারণের মতামত নেয়া হয়না। ওখানের সবাই লয়েলব্লাডেড আর বাকি মানুষগুলো দুতভাত। ছোটবেলায় দেখেছি যে খেলা পারতো না তাকে আলাদা বসিয়ে রাখতো যাঁরা শক্ত সমর্থ্য। তাকে বলে দুতভাত। আজ বিক্রীত হচ্ছে কাগজ , হাড়িয়ে যাজে সততা বিবেক বান মনুষ। অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি আমরা যাঁরা নতূণ বাচ্চারা বড় হচ্ছি।

ভূমির নিচে নষ্ট পানির প্রবাহ ধারণ হিসেব না করে অথবা না মেনে রাস্তার দু’ধারে নির্মাণ করা হচ্ছে দাঁড়ান / মার্কেট। সামান্য বৃষ্টিতে ভেতরের আবর্জনা ভেসে ওপরে এসে স্বাস্থের হানি করছে। বর্জ্রে লাইন মিশে যায় মাঝেমধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির সাথে। বর্ষায় বেড়ে যায় কলেরা আর ডায়রিয়া। পলিব্যাগ পরে নালা দূষিতো হচ্ছে। ব্যবহারের পরে সেগুলো সঠিকভাবে ফেলা হচ্ছেনা। একর পর এক নতূণ জমিতে নির্মিত হচ্ছে দালান। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছপালা। এতোটাই প্রকৃতি অসহায় হয়ে পড়েছে যে সরকারের গাছ-রোপন অভিযান ও ঠাঁই দিতে পারছে না। গরমে প্রচণ্ড গরম আর বর্ষায় পানি বদ্ধী হতে হচ্ছে। কোথায় মনিটরিং কোথায় পরিবেশ নিয়šত্র ও সুনামধণ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো? তা হলে সবাইকি নির্দিষ্ট সময়ে গোল দেবার জন্য আত্বপ্রকাশ করে খেরা শেষে হারিয়ে যায়?

২০১৫ সালে এসেও রাস্তায় বসে থাকতে হয় রূগীসহ এম্বুলেন্সের গাড়ী। কিন্তু এসবের চলাচলের পথ পাশে আলাদা করে দেওয়া সভ্য মানুষের প্রথম বিবেচনা করা উচিত। যাঁরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সেবা দানে নিয়োজিতো আছেন তাদের ওপরে মনিটরিং দরকার। কে কি ব্যবসা করছেন এবং তার যুক্তি কি সেটা জেনে লাইসেন্স দেওয়া উচিত। তা হলে ব্যবসারে সেবা ভালো হবে এবং দেশ সুন্দর । তা হলে অর্থের অভাবে বা প্রভাবে পিষ্ঠ হবে না কোনো যোগ্য মানুষ। মনে রাখতে হবে যতোই অর্থের জোর থাকুক মুরগি কখোন হাসের ডিম দিতে পারবে না। তাই যাকে যেখানে উচিত সেখানেই রাখা প্রয়োজন। তা নাহলে দেশের ভাবমূর্তি অসুস্থ হয়ে যাবে। যা হচ্ছে তা প্রকোট হবে।
প্রকৌশলী মীর্জা শামীম হাসান
( আই.ই.বি অ্যাসো. নম্বর ১৪৮৪৫)
বি.এসসি. সিভিল ( স্ট্রাকচার , ট্রান্সপোর্টেশন)
প্রক্তন লেকচালার এ.আই.এস.টি. সিভিল ইঞ্জি: বিভাগ



মন্তব্য চালু নেই