মিলল এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্স, রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা

অবশেষে খোঁজ মিলল এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর ব্ল্যাক বক্সের। যার ফলে বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানা অনেকটাই সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ঠিক কী হয়েছিল এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর? এবার কি তা জানা যাবে। জাভা সাগরের অতলে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিমানের ব্ল্যাক বক্সটির সন্ধান পাওয়ার পর এই বিষয়ে দেখা দিয়েছে আশার আলো।

এয়ার এশিয়ার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছিল ধ্বংসাবশেষ। উদ্ধার হয়েছিল যাত্রীদের দেহও। কিন্তু, যা পেলে বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হতে পারে সেই ব্ল্যাক বক্স ছিল অধরাই। আর তার খোঁজে জাভা সাগরের অতলে হাতড়ে বেড়ানোর দু’ সপ্তাহ পর মিলল সাফল্য। রবিবার এই খবর নিশ্চিত করে ইন্দোনেশিয়ার মেরিন ট্রান্সপোর্টের ডিরেক্টর জেনারেল। জলস্তর থেকে ৩০ থেকে ৩২ মিটার গভীরে ব্ল্যাক বক্সটির অবস্থান জানা যায়। বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আটকে থাকায় তা এদিন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ১৫৫ জন যাত্রী ও ৭ বিমানকর্মীকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই উধাও হয়ে যায় এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১। তার দু’দিন পর মধ্য কালামান্তানে জাভা সমুদ্রে ভাসতে থাকা এয়ার এশিয়ার এই বিমানের ধ্বংসাবশেষ সহ যাত্রীদের দেহ ভাসতে দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতর দুর্ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়াকেই দায়ি করলেও ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার না হওয়ায় সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছিল না কেউই। এবার সেই কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।



মন্তব্য চালু নেই