পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে থ্রিডি রাডার বসাচ্ছে ভারত

পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে ৬৬টি নিউ জেনারেশন থ্রিডি সারভিলিয়েন্স ও ট্র্যাকিং র‍্যাডার বসাতে যাচ্ছে ভারত। প্রযুক্তির আদান-প্রদানের আওতায় ভারতকে এই র‍্যাডার দেবে ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি। আর ভারতীয় সেনার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করেছে ‘এলটা’ নামের একটি সংস্থা।

জানা গেছে, একাধিক ক্ষেত্রে নজরদারি চালাবে এই রাডার। উচ্চ কিংবা নিম্নগতির যুদ্ধবিমানসহ হেলিকপ্টার, আল্ট্রা-লাইট এয়ারক্রাফট কিংবা ড্রোন সবই এর নজরে পড়বে। এটি বলে দিতে পারবে নির্দিষ্ট রেঞ্জ। আর ভারতীয় সেনার হাতে এনে দেবে প্রত্যেকটা নিশানার একেবারে নিখুঁত ছবি। এমনকি, আবহাওয়ার যেকোনো পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত করতে পারবে এই রাডার। ভারতের ‘ফ্লাইক্যাচার’ রাডারকে প্রতিস্থাপন করবে এটি।

এদিকে, এই রাডার ছাড়াও কয়েক হাজার নতুন মিসাইল কিনতে ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। শত্রুদের ট্যাংকে আঘাত হানতে কেনা হচ্ছে এইসব ‘স্পাইক’ মিসাইল। এগুলি সবই ইজরায়েলে তৈরি ল্যান্ড-টু ল্যান্ড মিসাইল। এই চুক্তি অনুযায়ী, ১০০ কোটি খরচে ৩২১টা স্পাইক লঞ্চার ও ৮,৩৫৬টি অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেট মিসাইল কিনতে চলেছে ভারত। পাঁচ বছরের মধ্যেই এগুলো ভারতে আসবে বলে জানা গেছে। এর আগে ২০১৪ তে ৮০০০ স্পাইক অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ও ৩০০টি লঞ্চার কিনতে ভারত খরচ করেছিল প্রায় ৫৩ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে যৌথ উদ্যোগে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল তৈরির জন্য ইজরায়েলের সঙ্গে ১৭০০০ কোটি টাকার চুক্তি করে ভারত। পুরো প্রজেক্টটি ভারতের ডিআরডিও ও ইজরায়েলি এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রির তত্ত্বাবধানে হবে। ২০১৭ সালে ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে চলতি বছরেই ইজরায়েল সফরেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।



মন্তব্য চালু নেই