তার স্মরণসভায় কেউ নেই!

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম পথপ্রদর্শক চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ১২ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয়েছিল এক স্মরণসভা। কিন্তু সেখানে পাওয়া গেল না চলচ্চিত্র জগতের উল্লেখযোগ্য কাউকে।

মৃত্যুর পরে এমন উপেক্ষা যেন সহ্য করার নয়! তাই চাষীর সহধর্মিনী জ্যোৎস্না কাজী আক্ষেপ করে বললেন, চাষী নজরুল ইসলাম চারবার চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি ছিলেন, নির্মাণ করেছেন অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র। কিন্তু আজ তার স্মরণসভায় তেমন কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এই স্মরণসভার আয়োজন করে চাষী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ।

এই চলচ্চিত্র পরিচালককে স্মরণ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সচেতনভাবে উপস্থাপন করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। চলচ্চিত্র তথা শিল্প ও সংস্কৃতির দায় মেটাতে তার মতো একজন মানুষ খুব দরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘চাষী নজরুল ইসলাম মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন। মানুষের যাপিত জীবনের আনন্দ বেদনাকে আত্মস্থ করেছেন এবং সেসব বিষয়কে চলচ্চিত্রে রূপ দান করেছেন। সে কারণেই তিনি সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জ্যোৎস্না কাজীর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন- বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার‌্যয আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, কণ্ঠ শিল্পী মনির খান, চিত্রনায়ক মান্নার সহধর্মিনী শেলী মান্না, চাষী নজরুলের কন্যা আন্নী ইসলাম, চাষী নজরুল ইসলামের ভাই চাষী মফিজুল ইসলাম ও চাষী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই