ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিহত ৩, আহত শতাধিক

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘর গাছচাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। আহত হয়েছে শতাধিক।

বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বগারচরের সারমারা ও গোপালপুর বাজারসহ আশপাশ ধারারচর, নয়াপাড়া ও টেগেরপাড়াসহ ৫টি গ্রামে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড়ের সময় টিনে কেটে কৃষক ছালু মিয়া (৫০), গাছাচাপা পড়ে মিল মালিক মাসুম (৩৬) মোকছেদ আলী ওরফে ভদেল (২৮) মারা যায়। এরা সবাই বগারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বগারচরের সারমারা ও গোপালপুর বাজার, ধারারচর, নয়াপাড়া ও টেগেরপাড়ার উপর দিয়ে প্রচল ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই এসব এলাকার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এসময় গাছ ও ঘরচাপা পড়ে ব্যবসায়ী মাসুদ, কৃষক ছালু ও মোকছেদ আলীর মৃত্যু হয়। আহত হয় শতাধিক মানুষ। শত শত গাছপালা উপড়ে ও বাড়িঘর ধসে পড়ে।

ঝড়ে সানন্দবাড়ি-বকশীগঞ্জ-জামালপুর মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক গাছপালা ও বাড়িঘর উপড়ে পড়ায় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রায় একই সময় সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। আহত হয় অন্তত পাঁচজন।

ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট আহতদের উদ্ধার, বিধ্বস্ত বাড়িঘর অপসারণ ও সড়ক যোগাযোগ চালুর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটি মেডিকেল টিম আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

আহতদের জামালপুর, শেরপুর ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান ও পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক পক্ষ থেকে জাননো হয়েছে, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক নগদ ২০ হাজার টাকা করে ও আহতদের জন্য সাত হাজার টাকা ও একশ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই