বাংলায় কথা বলে সুলতানের শালিকটি!

ময়না-টিয়াকে পোষ মানানো যায়। মনিবের সাথে কথা বলতেও শোনা যায়। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন, শালিকের সাথে কেউ কথা বলেছে? দেখেছেন, পোষ মেনে মনিবের কাঁধে চড়ে ঘুরে বেড়াতে?

হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ব্রিজের নিচে ভাসমান বেদেপল্লীতে। সত্যিই বিরল ঘটনা। ঘটনাটি বিস্ময়কর হলেও একবারে সত্যি।

বেদে আব্দুল হকের ছেলে সুলতান মিয়া (১৫) ‌‌ঝুটি’ নামের শালিক পাখিটি পুষছে প্রায় তিন বছর ধরে। পাখিটি এক পায়ে দাঁড়িয়ে অবিকল মানুষের মতো বাংলায় কথা বলতে পারে।

শালিকটির মুখে সুলতানকে ‌‘কাকা’ ও সুলতানের ভাবীকে ‘কাকি’ বলে ডাকে। ‘অ্যাই-অ্যাই’ করে মানুষকে ডাকা, ছোট বাচ্চাদের কান্না, ভঙ্গি করে মুরগির ডাক, হাঁসের ডাক, মানুষের মতো করে কাশি দেয়াসহ কথা বলতে শোনা যায়।

কিশোর সুলতান জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে সে শালিকটি পুষছে। পাখিটিকে সে ছোট অবস্থা থেকেই মরিচ পুড়িয়ে খাওয়া শেখায় কথা বলানোর জন্য। ধীরে ধীরে পাখিটি তার পোষ মানে ও কথা বলতে শেখে। খাঁচা থেকে বের করলেও সুলতানের কাঁধে গিয়ে বসে এবং মানুষের মতো কথা বলতে থাকে। সুলতান তার কথায় জবাব দিলে পাখিটিও সুলতানের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে মানুষের মত চুমু দেয়।

সুলতান জানায়, ক্ষিদে পেলেই পাখিটি তাকে ‘কাকা’ বলে ডাকতে থাকে। শালিকটিকে নিয়মিত ভাত, রুটি, বিস্কুট, কলা ও মরিচ খাওয়ানো হয়। তার পোষা পাখিটি একনজর দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বেদেপল্লীতে ভিড় করে।



মন্তব্য চালু নেই