পৌর মেয়রের নেতৃত্বে হামলা, ককটেল বিস্ফোরন ॥ পুলিশের ফাকা গুলি, আহত-১৫

কলেজসহ ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ॥ বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর

বরিশাল: ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান হারিছের নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটিয়ে উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজ, মসজিদ, মর্ডান ক্লাব, তিনটি বাস কাউন্টারসহ ১০টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট করা হয়েছে।

হামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:সাজ্জাদ হোসেন ও ২’পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় ১২ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের ছবি ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, মাহিলাড়া ভায়া সরিকল এলাকার একটি সড়কের ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে পৌর মেয়রের বড়ভাই আকবর হোসেন ফারুকের সাথে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর বাগ্বিতন্ডা হয়।

মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈতক গুহ পিকলু জানান, এ ঘটনার জেরধরে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন দলের প্রায় ২’শতাধিক ক্যাডাররা সশস্ত্র অবস্থায় মাহিলাড়া বাজারে একটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজ, মসজিদ, মর্ডান ক্লাবসহ ১০টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘন্টাব্যাপী হামলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জলিল রাঢ়ী, নাসির উদ্দিন, দিলীপ মন্ডলসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়।

mahilara 2

এসময় হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিভাগীয় কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গাউস ও জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলামের ছবি ভাংচুর করে। চেয়ারম্যান পিকলু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে তার সমর্থকদের তিনটি বাস কাউন্টারে হামলা চালিয়েও ব্যাপক ভাংচুর করেছে।

mahilara .

খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,জেড,এম মোর্শেদ আলী, সরকারি গৌরনদী কলেজের বিজিবির স্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

গৌরনদী থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে তিনিসহ পুলিশ কনস্টবল মুজিবুল হক ও আনসারুল ইসলাম রক্তাক্ত জখম হয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশ দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

mahilara 3

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমান জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কাজের জন্য তার বড় ভাই ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আকবর হোসেন ফারুককে শারিরিক ভাবে লাঞ্ছিত করায় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই