ইতিহাসের যে বিখ্যাত ঘটনাগুলো ঘটেছিল বাথরুমে!

বাথরুমে মানুষ কি করে? কি আবার করবে? হাস্যকর এই প্রশ্নটি শুনতে খুবই অদ্ভূত মনে হলেও আদতে এর পেছনে রয়েছে এমন কিছু উত্তর যেগুলো হয়তো আসেনি আপনার কল্পনাতেও। বাস্তবে ইতিহাসের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অতি প্রয়োজনীয় এই স্থানটি যেগুলো না থাকলে আমাদের পৃথিবীর ইতিহাসটাই হয়তো পাল্টে যেত। হয়ে যেত অন্যরকম। আসুন জেনে আসি এমনই কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেগুলোর পেছনে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বাথরুমের!

১. আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার ধ্বংস হওয়া

ইতিহাসে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারকে সবার জন্যে উন্মুক্ত একমাত্র গ্রন্থাগার বলে চিহ্নিত করা হয় যেখানে যে কেউ এসে পড়াশোনা করতে পারতেন। তবে প্রথমে জুলিয়াস সিজার, এরপর অরেলিন ও আরো অনেকের একের পর এক আক্রমণের পর ধীরে ধীরে একটা সময় নষ্ট হয়ে যেতে থাকে এই গ্রন্থাগার। কিন্তু গল্পের শুরুটা এখানে নয়। গ্রন্থাগার তখনো টিকে ছিল কিছুটা। মানুষ আসতো না সেখানে যুদ্ধ-বিগ্রহরের জন্যে খুব একটা। তবে তাতে কি? গ্রন্থাগার তখনো বেশ ছিল নিজের জায়গায় হাজার হাজার বইকে নিয়ে। তবে একে শেষ ধাক্কাটা মেরে একেবারের মতন ধ্বংস করে দেয় আরব সৈন্যরা। যাদের কাছে খ্রিষ্টধর্মীয় বই পড়ারা চাইতে গোসলের পানি গরম করার কাজটাই বেশি দরকারি ছিল (লিস্টভার্স)। ফলাফল? খুব দ্রুতই আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায় আলেকজান্দ্রিয়ার এই বিখ্যাত গ্রন্থাগার।

২. আমেরিকার আকৃতি

টাকার জন্যে লুসিয়ানাকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেন নেপোলিয়ান একটা সময়। এবং সেটা করেও ফেলেন। তবে বিনা আলোচনায় এমন কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নেপোলিয়ানের দুই ভাই লুসিন আর জোসেফ। তারা রাগত ভঙ্গীতে নেপোলিয়ানের কাছে আসলে জানতে পারেন যে নেপোলিয়ান গোসল করছে। অপেক্ষা না করেই বাথরুমে চলে যান দুই ভাই আর প্রশ্ন করেন নেপোলিয়ানকে। কথা কাটাকাটি হয়। কথার মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই ভাইয়ের মাথা পানিতে ডুবিয়ে দেন নেপোলিয়ন। প্রাণের ভয়ে নেপোলিয়ানের বিরোধিতা করবে না বলে জানায় জোসেফ আর লুসিন। আমেরিকা পেয়ে যায় লুসিয়ানাকে। যেটা কিনা বদলে দেয় আমেরিকার পুরো মানচিত্র ( এসএইচএসউ )!

৩. আর্কিমিডিসের সূত্র

একবার বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস বেশ সমস্যায় পড়ে যান। রাজ্যের মুকুটে সঠিক পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ তেরি হয় সবার ভেতরে। কিন্তু কি করে সেটা পরীক্ষা করা যাবে? দায়ভার পড়ে আর্কিমিডিসের ওপর। কি করে সমাধানে আসা যায় সেটা ভাবতে ভাবতে গোসল করছিলেন বিজ্ঞানী। এমন সময় তার ভারে খানিকটা পানি বাইরে উপচে পড়ে আর আনন্দে চিৎকার করে বাইরে বেরিয়ে আসেন আর্কিমিডিস। মুকুটটা নিয়ে স্বর্নের ওজনের সমপরিমাণ পানিতে রাখেন আর খেয়াল করেন ঠিক কতটা পানি উপচে পড়ল। যতটা পানি বালতিতে বাকি রইল সেটুকু যে স্বর্ণকার হাপিস করে দিয়েছিল খুব সহজেই সেটা বের করে ফেলেন তিনি। তৈরি হয় ওজন মাপার পদ্ধতি ( কাট দ্যা নট )।



মন্তব্য চালু নেই