আগুন-খেকো মানুষের বৈচিত্রময় এক উৎসব! (ছবি সহ)

মানুষের জীবন প্রণালীর সঙ্গে উৎসবের রয়েছে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। ভূমির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রেখে এই উৎসবের রকমফের হয়। তবে মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যের কারণে উৎসবের কিছু উপাদান বা অনুষঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে সাধারণ ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন ধরা যাক ইসরায়েলের নেভাদান মরুভূমির জলন্ত মানুষ পোড়ানোর উৎসবটিই। ১৯৮৬ সালে প্রথম এই উৎসবটির প্রচলন হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বছর নিয়ম করে এই উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে।

খেয়াল করলে দেখা যাবে, তারা এই উৎসবে এমন কিছু আকার-আকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, যা বেশ দৃষ্টিনন্দন। নিজ সম্প্রদায়, স্ব-জিজ্ঞাসাবোধ, স্ব-নিরাপত্তাবোধ এবং নিজেকের প্রকাশের মন্ত্র নিয়ে এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আমরা যদি ভারতীয় উৎসাবাদির দিকে একটু খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাবো, এই অঞ্চলের এমন অনেক উৎসব আছে যেখানে আগুনকে শুদ্ধির অন্যতম উপাদান হিসেবে ধরা হয়।

CHURCH1

মূলত বছরের গ্রীস্মকালীন সময়ে মরুভূমিতে এই জলন্ত মানুষ উৎসবটি হয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ যারা কোনো না কোনো সৃষ্টিশীল কর্মের সঙ্গে যুক্ত এবং সেই সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন প্রশ্ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তারাই এই উৎসবে যোগদান করতে পারে। এবারের উৎসবে শিল্পীদের তৈরি বিরাকৃতি স্থাপত্যকর্ম এবং আগুনকে উন্নততর শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়াস দেখা গেছে, যা এই আলোকচিত্রগুলোই প্রমাণ করে।

FIRE-16

কিছু মানুষের কাছে এটা বেশ বড় একটা পার্টি/উৎসব। অন্যদিকে কিছু মানুষ এটাকে বেছে নিয়েছেন তাদের সৃষ্টিকর্মকে সবার সামনে উপস্থাপন করার ক্ষেত্র হিসেবে। তবে যাই হোক না কেন, উৎসবের আধ্যাত্মবাদের বিষয়টি যে সবাইকেই মোহিত করে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। নিজের সৃষ্টিকে পুড়িয়ে বিনাশ করে দেয়ার মাঝে শিল্পীর কর্তা স্বত্ত্বাকে বিলীন করে যে সৃষ্টিকে স্বাধীন করে দেয়া যায় তার প্রমাণও কিন্তু এই উৎসব।

FIRE-CAR BLOW SPACESHIP

BURN



মন্তব্য চালু নেই