সামিউলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জয়ের
সিলেটে সামিউল আলম রাজনকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ‘দানবদের’ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘রাজনের ওপর নির্মম অত্যাচার এবং তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে আমাদের পুলিশ। রাজন ছিল অবোধ শিশু। এই দানবদের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত। এই প্রেক্ষিতে আমি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দ্রুত তৎপরতার উল্লেখ করছি, যার ফলে জেদ্দায় পলাতক একজন সন্দেহভাজন আসামি ধরা পড়েছে।’
সৌদি সরকার এবং ইন্টারপোলকেও তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র জয়।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে চোর অপবাদে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন নির্যাতনকারীদেরই একজন, যা ওই ভিডিওর কথোপকথনে স্পষ্ট। গত ৮ জুলাই সকালে শিশুটিকে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়।
নিহত সামিউল আলম রাজন (১৩) সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা রাজন সবজি বিক্রি করত।
কুমারগাঁও এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে ভ্যান চুরির অভিযোগে গত বুধবার তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর একটি মাইক্রোবাসে তুলে রাজনের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় মুহিত আলম (২২) নামের একজনকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় জালালাবাদ থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মুহিত আলম (২২), তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫)। ইতিমধ্যে আসামিদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অমানবিক, নৃশংস ও লোমহর্ষক ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিচার দাবিতে ফুঁসে ওঠে মানুষ।
মন্তব্য চালু নেই