অবিক্রিত চিনি নিয়ে বিপাকে রংপুর চিনিকল
দফায় দফায় চিনির দাম কমিয়েও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের উৎপাদিত চিনি বাজার ধরতে পারছে না । অপরদিকে বাজারে চিনি বিক্রি না করতে পারায় দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না । ফলে এখানকার চিনি কলের শ্রমিকরা চরম বিপাকে পরছে তাদের পরিজন নিয়ে ।
সূত্রে জানা যায় , উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হয়ায় অর্থাভাবে এ পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারিদের প্রায় ২ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে । চিনি বিক্রি না হওয়ায় মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ গত দু’বছরে প্রতি কেজি চিনির দাম প্রথমে ৫০, ৪৫ টাকা, এর পরে ৪৫ থেকে ৪০ টাকা এবং সর্বশেষে ৩৭ দামে নিয় এয়াসলেও তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে না । মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকল চিনির দাম কমানোর সাথে সাথে বেসরকারি চিনিকলগুলো ৪থেকে ৫ টাকা করে দাম কমিয়ে দেয়।
এই অবস্থা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার আওতাধীন দেশের ১৫টি চিনিকলেই বিরাজ করছে । গত ২৫ মে পর্যন্ত ১৫টি চিনিকলে অবিক্রিত মজুদ চিনির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন।এরমধ্যে মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলেই অবিক্রিত চিনি ছিল ৬ হাজার ৯৩২ মেট্রিক টন। চিনি বিক্রি না হওয়ায় রংপুর চিনিকলসহ দেশের প্রায় ১৫টি চিনিকলেই কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের ২-৩ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে আছে ।এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গত ২৫ মে থেকে বিএসএফআইসি ১ ও ২ কেজি ওজনের পলিব্যাগে চিনি প্যাকেট করে খোলাবাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে । কিন্তু তাতেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
এরপরও ১ জুলাই বুধবার পর্যন্ত মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলেই অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে ছিল ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬ হাজার ৮৬৭ মেট্রিক টন চিনি ।
এ ব্যাপারে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল খালেক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। এ ব্যপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত এই বিষয়টি সমাধান করা হবে ।
মন্তব্য চালু নেই