উৎকোচ বাণিজ্যে বেপরোয়া কলারোয়া থানা পুলিশ , অভিযোগ ছাড়াই ব্যবসায়ীকে হয়রানি।।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা পুলিশ উৎকোচ বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ী ও তার সহোদরকে হয়রানির সরাসরি অভিযোগের তীর তাদের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কলারোয়া পৌর বাজারে।
থানা পুলিশের হয়রানীতে নাকাল উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত শেখ মোকছেদ আলীর ছেলে শেখ কামরুজ্জামান জানান, পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ৩তলা দোকানসহ আবাসিক ভবনের মালিকানা নিয়ে আপন সহোদর বদরুজ্জামানের সাথে দীর্ঘদীন ধরে বিরোধ চলে আসছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিরোধপূর্ন ৩তলা ভবনটির নির্মাণ মৃত শেখ মোকছেদ আলীর সম্পত্তি হতে অর্জিত আয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু তিন সহোদরের মধ্যে মেজো বদরুজ্জামান এককভাবে ২য় ও ৩য় তলার মালিকানা দাবি করায় তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। আরও জানা গেছে, নন-জুডিশিয়াল ৫০টাকার স্টাম্পে নিজ মনগড়া বর্ণনা মতে বদরুজ্জামান মজনু ঐ ভবনের দখল বজায় রাখতে কলারোয়ার প্রভাবশালীদের সহায়তায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার এরই জের ধরে দুই সহোদর কামরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান দুজনে বদরুজ্জামানকে নিবৃত্ত করতে চাইলে সেখানে আসাদুজ্জামান আসাদের উপর চড়াও হয় বদরুজ্জামান মজনু ও তার পেটোয়া বাহিনী। সেখানে বেধড়ক পেটানো হয় আসাদুজ্জামানকে। এরপরই মঞ্চে আবির্ভুত হয় মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা পাওয়া কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক বুলবুল। এ পুলিশ কর্মকর্তা বদরুজ্জামানের হয়ে বিভিন্ন হুমকি ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখায় অপর দুই সহোদর কামরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামানকে। এরই ফলশ্রুতিতে কলারোয়া কলেজ বাসস্টান্ডে অবস্থিত তারিক এর দোকানে এসে তারিক কে অপমানসুচক কথাবার্তা বলে এবং তাকে আসাদ মনে করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তার নাম তারিক জেনে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করে।
পরে কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরাফাত হোসেন এর মধ্যস্থতায় সন্ধ্যায় কলারোয়া থানায় সালিশী বৈঠক বসলেও সেখানে উপস্থিত হয়নি অন্যায়ভাবে ভবনের দখল প্রচেষ্টাকারী বদরুজ্জামান। এ সময় কলারোয়া পৌর প্যানেল মেয়র জনাব রফিকুল ইসলাম উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ ছাড়াই কেন আসাদুজ্জামান ও কামরুজ্জামানকে হয়রানী করা হল জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বুঝতে না পারায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য চালু নেই