দূঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য

পঁচা চাল সরবরাহ করলো সাতক্ষীরার কলারোয়া খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ

রমজান মাস উপলক্ষ্যে দূঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য পঁচা চাল সরবরাহ করলো কলারোয়া খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে পৌরসভায় ওই চাল সরবরাহ করে তারা। পরে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে ও পৌরসভার প্রতিবাদের মুখে পঁচা ও অর্ধভাঙ্গা চাল ফেরত নিতে বাধ্য হন খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভাধীন ৩০৮১জন দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষ্যে ৩.৮১মে.টন ভিজিএফের চাল বিতরণের কথা ছিল বুধবার সকাল থেকে। এজন্য কলারোয়া উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল আনা হয়। পরে বস্তা খুলে দেখা যায় খাদ্য গুদাম থেকে আনা চাল পঁচা, অর্ধভাঙ্গা, লালবর্ণের ও ক্ষুদ প্রকৃতির। এসময় পৌরসভা চত্বরে বিপুল সংখ্যক জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পৌর মেয়র, কাউন্সিলররা পঁচা চাল সরবরাহের প্রতিবাদ জানিয়ে ওই চালের বস্তা নিয়ে খাদ্য গুদামে ফেরত দেন। পৌর মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলিনুর ইসলাম এজন্য দূঃখ প্রকাশ করে আগামী ৭দিনের মধ্যে ভালো চাল পুনরায় দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চরম অব্যবস্থাপনা, দূর্ণীতি, অনিয়ম ও উৎকোচের বিনিময়ে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্তাব্যক্তিরা চাল নিয়ে চালাচালি, ধান নিয়ে ধুনফুন করে আসছেন। মুষ্টিমেয় প্রভাবশালী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে জোগসাজসে ওই সকল অসাধু কর্মকর্তারা মানুষের পেটের অন্যতম প্রধান খোরাক ‘ধান-চাল’ নিয়ে চরম দূর্ণীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। বিশ্বস্ত সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ওই অনৈতিক কর্মকান্ড বহাল তবিয়তে বজায় রাখতে কলারোয়ার কতিপয় কয়েকজন সাংবাদিকদেরও টাকা দিয়ে হাত করে নিয়েছে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। এলাকার সচেতন মহল অবিলম্বে অসাধু কর্মকর্তাদের অপসারণসহ ভালো ও সঠিক মাপের চাল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই