অপারেশন টেবিলে মৃত রোগী রেখে পালিয়ে গেলেন দুই চিকিৎসক
ঝিনাইদহের শৈলকুপার আয়েশা (প্রাঃ) হাসপাতালে ডাক্তারের ভূল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্বজনদের অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার ফাজিলপুর গ্রামের হালিম শেখের মেয়ে ও খোকসা থানার বসী গ্রামের রতনের স্ত্রী রাফেজা খাতুন সন্তান প্রসবের জন্য শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিব উদ্দিন রনি ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে প্রসূতির পেটে যমজ সন্তান থাকায় ঝুকি না নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।
রাফেজার ফুফু হাসিনা বেগম অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহে আনার পথে আয়েশা (প্রাঃ) হাসপাতালের মালিক শাহিদুল ইসলাম দালালের মাধ্যমে শৈলকুপা হাসাতাপাল গেইট থেকে ভূল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
ক্লিনিকে ভর্তির পর শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সেই রকিব উদ্দিন রনি ও অজ্ঞানের ডাক্তার কাওসার রহমান আয়েশা (প্রাঃ) হাসাপাতালে রাফেজাকে অপারেশন করেন।
রাফেজার মা অভিযোগ করেন অপারেশন শেষে তড়িঘড়ি করে দুই চিকিৎসক কিছু না বলেই অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে যান। এরপর ক্লিনিক মালিক শাহিদুল ইসলাম রাফেজার মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
রাফেজার বাবা হালিম শেখ জানান, তার মেয়েকে টেনে হেচড়ে আয়েশা (প্রাঃ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভূল অপারেশনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া যমজ দুইটি কন্যা সন্তনকে বাঁচিয়ে রাখা ওই দরিদ্র পরিবারের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তাররা গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসি জানায় আয়েশা (প্রাঃ) হাসাপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়।
এর আগেও ভুল ও অপচিকিৎসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু ক্লিনিকটি বন্ধ করা হয়নি। ক্লিনিকটিতে নিয়মিত কোন ডাক্তার নেই। ডিপ্লোমা নার্স নেই, নেই কোন প্যাথলজিষ্ট ও হালনাগাদ কাগজপত্র। হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চালানো হয় চিকিৎসা। শহরের জনবহুল এলাকা কবিরপুর ষ্ট্যান্ডে প্রচুর শব্দ, ধুলাবালি আর বিল্ডিং এর নিচে রাতদিন ওয়েল্ডিং এর ঝনঝনানি শব্দে ঘুমহীন রাত কাটে রোগীদের।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানান, রোগী মৃত্যুর ঘটনা আমার জানা নেই।
মন্তব্য চালু নেই