ঢাকায় ভূমিকম্প হলে ডাক্তার এবং সাংবাদিকও বাঁচবে না

নেপালের সমান ভূমিকম্প যদি ঢাকায় হয় তবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার এবং খবর সংগ্রহের জন্য একজন সাংবাদিকও বেঁচে থাকবে না। এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানারস(বিআইপি) এবং গ্রিনভয়েস নামের সংগঠনগুলোর নেতারা।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানারস(বিআইপি) এবং গ্রিনভয়েস আয়োজিত ‘মারাত্মক ভুমিকম্পের হুমকি থেকে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে’ তারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের মতে ডাউকি-সিলেট কেন্দ্রিক রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার বড় ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প যেকোনো সময়েই হতে পারে। তাতে ঢাকা মহানগরীর কয়েক লাখ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ রোধ, ভূকম্পন সহনশীল ভবন নির্মাণ, অতি উচ্চ বাড়ি-ঘর নির্মাণ রোধসহ ভূমিকম্প মোকাবিলায় জরাজীর্ণ ভবনের সংস্কার দরকার। ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারী, পরিকল্পনা, আধুনিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি, প্রয়োজনীয় হাসপাতাল-চিকিৎসাকর্মীর অভাব রয়েছে।’

বাপার যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী ইকবাল হাবিব বলেন, ‘নেপালের অবস্থা দেখেও আমাদের হুঁশ হচ্ছে না। প্রত্যেক নাগরিকের জানার অধিকার আছে, তার বসবাসের স্থানটি নিরাপদ কি-না। রাজউক আজ নিজের মূল কাজ বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী শ্রেণির জন্য উচ্চবিলাসী অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে ব্যস্ত। তাদের উচিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তা পূণ:নির্মাণের ব্যবস্থা করা। কারণ রাজধানীতে এখন সাধারণ ভূমিকম্প হলে ২ লাখ বাড়ি ভেঙে পড়বে।’

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের আনিসুজ্জামান, ডা. মো. আব্দুল মাতিন, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রুহিন হাসান প্রিন্স প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই