যশোর শিক্ষাবোর্ডে কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনের উদ্যোগের অচলাবস্থা অবশেষে কাটতে যাচ্ছে

নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে যশোর শিক্ষাবোর্ডে কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সৃষ্ঠ জটিলতার নিরসণ হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সম্পন্ন করতে যুগ্ম শ্রম পরিচালক খুলনার কার্যালয় থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, যশোর শিক্ষাবোর্ড এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন(রেজি. নং-২১২৭) ও যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন(২১২১)-এর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর পত্র দেওয়া হয়েছে। সোমবার এ পত্র পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যার স্মারক নম্বর যুশ্রপ/(খু)/টিইউ-৬৯/১৫/৭৮০(৩)।

যুগ্ম শ্রম পরিচালক এম.কে আলম স্বাক্ষরিত ঐ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (সিবিএ) নির্ধারণী নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এ দপ্তরের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কর্মরত ১০৩ জন কর্মচারীর একটি তালিকা পাওয়া গেছে। উক্ত তালিকা সম্পর্কে আপত্তি নিষ্পত্তি করতঃ ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, প্রতীক বরাদ্ধ এবং নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কিত এক সভা আগামী ১৩ মে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।’ যুগ্ম শ্রম পরিচালকের কার্যালয় থেকে পত্র প্রাপ্তির পর শিক্ষাবোর্ডে রেজিস্টার্ড দু’টি কর্মচারী ইউনিয়ন যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত পত্র প্রাপ্তির খবরে শিক্ষাবোর্ডের সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। তারা সোমবার বোর্ডে মিষ্টি বিতরণ করে।

সাধারণ কর্মচারীরা বলছেন,‘শিক্ষাবোর্ডে নির্বাচিত কর্মচারী প্রতিনিধি না থাকার কারণে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলার মতো কেউ নেই। ফলে, নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ দীর্ঘদিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার পর বেশিরভাগ কর্মচারী অতিদ্রুত নির্বাচন্ন সম্পন্ন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের দাবি, যাতে কোনোভাবেই নির্বাচন পিছিয়ে না যায়। এ ধরনের দাবি কর্মকর্তাদেরও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,‘কর্মচারীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা ঝামেলামুক্ত হওয়া যাবে। কারণ, বর্তমানে দুটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথক দাবি জানায়। তাদের সেইসব দাবি পূরণ করা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এ নিয়ে মাঝেমধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলে তখন আর দু’টি ইউনিয়ন যার যার মতো করে দাবি পেশ করতে পারবে না।

এছাড়া, দ্রুত নির্বাচন যদি না হয় তাহলে কর্মচারীদের বৃহৎ অংশটি আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিঘœ ঘটতে পারে। এসব দিক বিবেচনায় রেখে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।এসব বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ড এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘জেডিএল থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে পত্র পেয়েছি। এখন দ্রুত নির্বাচনটি সম্পন্ন হলে শিক্ষাবোর্ডের জন্যে সেটি মঙ্গল হবে।’ অপরদিকে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শরীফ আব্দুল্লাহ হেল মকিত বলেন,‘যুগ্ম শ্রম পরিচালকের দপ্তর থেকে পত্র পেয়েছি।



মন্তব্য চালু নেই