বেনাপোল-যশোর সড়ক ঝুকিপূর্ণ : বন্ধ হয়ে যেতে পারে আমদানি রফতানি

মহসিন মিলন, বেনাপোল : ভারতের সাথে দু’দেশের আমদানি রফতানি বানিজ্যে বেনাপোল -যশোর সড়ক অত্যস্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেনাপোল-যশোর মহাসড়কে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় চলছে যান চলাচল। প্রতিদিন এই সড়কে শতশত যানবাহন ঢাকা সহ দেশের বিভিণœ স্থানে যাতায়াত করছে। বিশেষ করে বেনাপোল ও ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি ও রফতানিকৃত পন্যবোঝাই হাজার খানেক ট্রাক রাত দিন চলাচল করছে এই সড়কে।

বেনাপোলের ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কটি এখন এশিয়ান হাইওয়েতে রুপ নিযেছে। সড়কটির বিটুমিনের খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে স্থানে স্থানে। বিটুমিন উঠে যাওয়ায় একটি গাড়ি যাওয়ার পর ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে যায় এলাকা।

কোথাও কোথাও অবস্থা এতোই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, পিচঢালা রা¯তার ওপর নতুন করে ইট বিছানো হয়েছে জোড়াতালি দিয়ে। বিশেষ করে ঝিকরগাছায় উপজেলার কপোতাক্ষ ব্রিজের দুই পাশে সড়কের ওপর এমন অবস্থা চোখে পড়ে।

সড়কের এই অংশটি আরসিসি ঢালাই কিংবা বিটুমিনের মজবুত কার্পেটিং হওয়ার কথা থাকলেও তা পিচ থেকে রূপ নিয়েছে ইটের রা¯তায়। ব্রীজটি এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রীজটি সামাণ্যতম সমস্যা হলেই বন্ধ হয়ে যাবে দু’দেশের আমদানি রফতানি বানিজ্য। তৎকালীন বৃটিশ আমলে নির্মিত এই ব্রজিটির অবস্থায়ও এখন জরাজীর্ণ।

টানা বর্ষণে সড়কের ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ ব্রিজের দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। একপর্যায়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিজের দু’পাশে প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) যশোর পিচের ওপর ইট দিয়ে সলিং করে দায়সারাভাবে চলাচলের উপযোগী করেছে।

দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল এবং আরেক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ভোমরায় যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া সাতক্ষীরাসহ আশপাশের এলাকায়ও রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের এটাই পথ। প্র¯তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের অংশও এটি।

ঝিকরগাছা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল আহম্মেদ রবি বলেন, ‘গুরুত্ব অনুযায়ী এই সড়কটির দিকে কর্তৃপক্ষের নজর কম।’
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, ভারতের সাথে আমদানি রফতানি বানিজ্যে বেনাপোল যশোর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ন। বেনাপোল বন্রদ থেকে সরকার প্রতি বছর ৪/৫ হাজার কোটি টাকার রাজ¤ ^ আয় করে থাকে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামলকুমার বসু জানান, সড়কটি সওজের হওয়ায় তারা নিজেরাই সাময়িকভাবে যান চলাচলের উপযোগী করেছে। তবে তিনিও পিচের ওপর এইভাবে ইটের সলিং করার বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যা দেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন হলে আগামী ফেব্রুয়ারী থেকে বেনাপোল-যশোর সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’

উল্লেখ্য সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতি বছর ৫ হাজার কেটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে।



মন্তব্য চালু নেই