রাজ্যসভায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাংসদের গান
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সীমান্ত বিল বুধবার দুপুরে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই সংবিধান সংশোধন বিল পেশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে-উচ্চতায় উঠেছিল, এই বিল পাস হলে দুই দেশের সম্পর্ক আবার সেই উচ্চতায় পৌঁছাবে। সহযোগিতা ও বন্ধুতার এক নতুন সংজ্ঞা রচিত হবে।
আজকের সভায় উপস্থিত ১৮১ সদস্যের প্রত্যেকেই এই বিলের পক্ষে ভোট দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁকে উদ্দেশ করে সুষমা বলেন, এই বিল মনমোহনজিরই। তাঁর কাজ আমরা সমাপ্ত করলাম মাত্র। এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, ৪১ বছর পর একটা চুক্তি রূপায়িত হলো। বিল পাসের সময় উপস্থিত ১৮১ সাংসদের মুখে ছিল হাসি। কিন্তু এরই মধ্যে এই বিলকে সমর্থন জানিয়ে ওডিশার এক সাংসদ (রাজ্যসভার সদস্য) এ ভি স্বামী গেয়ে ওঠেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের দুটি ঐতিহাসিক গান।
অবাঙালি নির্দলীয় এই সদস্য বাংলায় ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি আকাশে-বাতাসে উঠে রণি, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’ গানটি গেয়ে ওঠেন। গানটির পরের ছত্র ‘বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ গাইতে গাইতে কেঁদে ফেলেন তিনি।
সন্ধ্যার পর এ ভি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় ছিলেন। হৃদয় দিয়ে সমর্থন করেছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে। সেদিন তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থান আর আইয়ুব-ইয়াহিয়া বিরোধী আন্দোলনের কথা এখনো তাঁর চোখে ভাসে। তিনি সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই বিল পাস দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। বিলটি কাল বৃহস্পতিবার লোকসভায় আনা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই