ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৮০০, ক্যাপ্টেন অভিযুক্ত

ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৮০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘ বিষয়টি জানিয়েছে। রবিবারের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার নৌযানটির ক্যাপ্টেনকে গণহত্যা ও অবৈধ পথে বিদেশে যেতে সহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

ইতালিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনার কারলোত্তা সামি মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা বলতে পারি ওই দুর্ঘটনায় ৮০০ লোক মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘নৌযানটিতে ৮০০-এর বেশি লোক ছিল। তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরাও রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে সিরীয়, ইরিত্রীয় ও সোমালীয়রা ছিলেন। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় লিবিয়ার ত্রিপোলি ত্যাগ করেন তারা।’

স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে (আন্তর্জাতিক সময় রবিবার) ওই নৌযানডুবির ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় জীবিত ২৭ জনের সঙ্গে এর ক্যাপ্টেন ও এক ক্রুকেও ইতালির সিসিলিতে আনা হয়। এরপর তিউনিশিয়ান ক্যাপ্টেন ও সিরীয় ক্রুকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Boat-capsized-800-

ইতালিয় প্রসিকিউটর রোক্কো লিগুরি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমরা নৌযানটির ক্যাপ্টেন ও এক ক্রুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছি। উভয়কে অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ায় সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আলাদাভাবে ক্যাপ্টেনকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’

দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়ার পর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অপর প্রসিকিউটর জিওভানি সালভি জানিয়েছেন, মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকাটির তিনটি ডেকে ৩০০ লোককে রাখা হয়েছিল।

এর আগে, নৌকাডুবির ওই ঘটনায় ৭০০ বিদেশগামীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়। পরবর্তী সময়ে জীবিতাবস্থায় এক বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়। নৌকাটিতে প্রায় সাড়ে বারশ বিদেশগামীকে আটকে রাখা হয় বলে জানান তিনি।

নৌকাটিতে থাকা ২৮ জনকে জীবিত এবং ২৪টি লাশ উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড সদস্যরা।



মন্তব্য চালু নেই