তাজুলসহ জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদেশ ৪ মে

ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে মন্তব্য করায় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের ৫ নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা রুলের আদেশের জন্য জন্য আগামী ৪ মে পুনঃ নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

জামায়াতের ৫ নেতা হলেন ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান।

সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে জামায়াত নেতাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩ মার্চ জামায়াত নেতাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ১১ পৃষ্টার লিখিত জবাব দাখিল করেন।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে তাজুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদোজ্জা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা সম্বলিত লিখিত জবাব দাখিল করেন।

জেয়াদ আল মালুম জানান, তাজুল ইসলাম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আর জামায়াত নেতারা জবাবের জন্য সময় চেয়েছেন।

গত ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে মন্তব্য করায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ছয়জনকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দেন আদালত।

ওই দিন শোকজ নোটিশে ‘কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না’ এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো, এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসিতো দূরের কথা প্রসিকিউশনের জরিমানা করা হলে ভালো হতো।’



মন্তব্য চালু নেই