বিশেষ সম্পাদকীয়...
ইতিহাস-ঐতিহ্য আর উৎসব-পার্বনে সমৃদ্ধ ‘বাংলা সন ও পহেলা বৈশাখ’
ইতিহাস-ঐতিহ্য আর উৎসব-পার্বনে সমৃদ্ধ বাংলা সন ও পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের এই প্রথম দিনে সব্বাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। ‘বাংলা সন’, ‘পহেলা বৈশাখ’ আর ‘হালখাতা’ প্রবর্তণের ইতিহাসের সাথে মিশে আছে বাঙালী জাতির বর্ণাঢ্য জীবনের বর্ণিল ঐতিহ্য। বৈশাখ কিংবা বাংলা সনের গোড়াপত্তন হয়েছিল মুসলিম বিশ্বের নামকরা উদারপন্থি শাসক মুঘল সম্রাট জালালউদ্দীন মুহাম্মদ আকবরের শাসনামলে।
বাংলা সন সৃষ্টি হয়েছে মূলত হিজরি সন থেকে। আকবরের শাসনামলের আগে মুঘল আমলের পুরোটা সময় ধরেই কৃষিতে খাজনা আদায় করা হতো হিজরি সনের হিসেবে। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী হিজরি সন নির্ধারিত হয় কিন্তু তৎকালীন উপমহাদেশে সারা বছরের কৃষি কাজ ততোটা চাঁদের সাথে সম্পর্কিত না হওয়ায় কৃষকেরা তখন খাজনা প্রদাণে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখিন হতো। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ফেব্রুয়ারী মোতাবেক হিজরি ৯৬৩ সনের২৮ রবিউস সানি তারিখে মুঘল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আসিন হন। এরপর থেকে রাজদরবার চলছিল সম্রাট আকবরের ফরমান মোতাবেকই। ভলোই চলছিল সবকিছু। কেবল রাজার খাজনা আদায়ের হিসাব সংরক্ষণের বিষয়টিতে গড়মিল হচ্ছিল সময় ও সংখ্যা নিয়ে। সংখ্যা মিলতো কিন্তু সময় মিলতো না। একেক জনের হিসাব সংরক্ষিত হতো একেক সময় হিসেবে। স¤্রাট আকবর তাঁর রাজজ্যোতিষী আমীর ফতেহ উল্যাহ সিরাজীকে ওই সমস্য সুষ্ঠু সমাধানের নির্দেশ দিলেন। সমাধান হিসেবে যথাসময়ে যথাযোগ্য খাজনা আদায়ের অভিপ্রায়ে হিজরি চন্দ্রাব্দ ও বাংলা পঞ্জিকার সমন্বয়ে ‘বাংলা সন’ প্রচলন করেন যা ‘ফসলী সন’ নামে ১৫৮৪’র মার্চ মাসে প্রবর্তিত হয়। কিন্তু মূলত ১৫৫৬ সালে স¤্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের দিনটি থেকেই ‘বাংলা সন’ বা ‘বঙ্গাব্দ’ বছরের পথচলা শুরু হয়। আর মূলত তখন থেকেই বাংলা বছরের প্রথম দিনটি উৎসবমূখর ভাবেই উদযাপিত হয়ে আসছে। সম্রাট আকবরের সুবা-এ-বাংলা (বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা) তেই মূলত এ নতুন বাংলা সনের পথচলা শুরু করে।
পুরেনো দিনের সকল হিসাব পিছনে ফেলে নতুন বছরে পর্দাপনে বাঙালি সবসময়ই বেছে নিয়েছে আনন্দধারাকে। যেখানে যোগ হয়েছে বাঙালি পোশাক-পরিচ্ছদ, প্রথাগত বৈশিষ্ট আর পান্তা-ইলিশের। পরবর্তীতে যুগের সাথে তালমিলিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্য আরো সমৃদ্ধ হয়েছে নিত্যনতুন উৎসবে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহুরের কোন পরিবেশে-ই যেন বাদ যায় না এ উৎসবটি ঘিরে।
এবার চলুন দেখা যাক ‘উইকিপিডিয়া’ কী বলছে এ সম্পর্কে। ‘ভারতে ইসলামি শাসনামলে হিজরি পঞ্জিকা অনুসারইে সকল কাজর্কম পরিচালিত হতো। মূল হিজরি পঞ্জিকা চান্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল। চান্দ্র বৎসর সৌর বৎসরের চেয়ে ১১/১২ দিন কম হয়। কারণ সৌর বৎসর ৩৬৫ দিন, আর চান্দ্র বৎসর ৩৫৪ দিন। একারণে চান্দ্র বৎসরে ঋতুগুলি ঠিক থাকে না। আর চাষাবাদ ও এজাতীয় অনেক কাজ ঋতুনির্ভর। এজন্য ভারতের মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে প্রচলিত হিজরি চান্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় হয়। সম্রাট আকবর ইরান থেকে আগত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোর্তিবিদ আমির ফতুল্যাহ শিরাজীকে হিজরি চান্দ্র র্বষপঞ্জীকে সৌর বর্ষপঞ্জীতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদাণ করেন। ওমর ফতুল্যাহ্ শিরাজির সুপারিশে পারস্যে প্রচলতি সৌর বর্ষপঞ্জীর অনুকরণে ৯৯২ হিজরি মোতাবকে ১৫৮৪ খৃস্টাব্দে সম্রাট আকবর হিজরি সৌর বর্ষপঞ্জীর প্রচলন করেন। তবে তিনি ঊনত্রশি বছর র্পূবে তার সিংহাসন আরোহনের বছর থেকে এ’ পঞ্জিকা প্রচলনের নির্দেশ দেন। এজন্য ৯৬৩ হিজরি সাল থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। ইতোর্পূবে বঙ্গে প্রচলিত শকাব্দ বা শক বর্ষপঞ্চির প্রথম মাস ছিল চৈত্র মাস। কিন্তু ৯৬৩ হিজরি সালের মুহাররাম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস, এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং ১লা বৈশাখকে নবর্বষ ধরা হয়।‘ [সূত্র : bn.wikipedia.org/wiki/evsjv_mb]
এছাড়া বিখ্যাত ইতিহাসবিদ সৈয়দ আশরাফ আলী তাঁর এক প্রবন্ধে এ’ বিষয়টিকে বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা সনের প্রর্বতন যিনি করেন তিনি কোন বাংলাভাষী বা বাংলাদেশি নন। তিনি ছিলেনে বিশ্বখ্যাত চেঙ্গিস খান ও মহাবীর তৈমুর লং-এর সুযোগ্য বংশধর বিশ্ববিখ্যাত মোঘল স¤্রাট আকবর দি গ্রেট। সুদূর দিল্লীতে রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত থেকেই তিনি এ’ দেশে বাংলা সন প্রর্বতন করেন। ‘সন’ ও ‘তারিখ’ দুটিই আরবি শব্দ। প্রথমটির অর্থ হল ‘বর্ষ’ বা ‘বর্ষপঞ্জী’ এবং অন্যটির অর্থ ‘দিন’। ‘তারিখ’ বলতে আবার ইতিহাসও বোঝায়। ‘সাল’ হচ্ছে একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ হল বৎসর। বাংলা সনের সূত্রপাত হয় আরবি হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করে। র্অথাৎ ইসলামি সনের ওপর ভিত্তি করেই একজন মুসলমান বাদশাহ কর্তৃক বাংলা সনের প্রর্বতন। স্বভাবতই, যারা ইতিহাসকে স্বীকার করেন না বা যারা ইতিহাস সর্ম্পকে অজ্ঞ, তারাই মনে করেন যে, বাংলা সন অমুসলিমদের দ্বারা প্রবর্ততি একটি বর্ষপঞ্জী। ‘ইংরেজি’ তথা ‘গ্রগেরিয়ান’ ক্যালন্ডোর অনুযায়ী, র্সবশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা থেকে মদীনায় ঐতিহাসিক হিজরত অবলম্বন করে প্রর্বতিত, এই হিজরি সন শুরু হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১৬জুলাই তারিখ থেকে। বাংলা সনের মূলে হিজরি সন বিদ্যমান বিধায় হিজরি সালকেই সুকৌশলে বাংলা সনে রূপান্তরিত করা হয়।
মোঘল সম্রাট আকবররে রাজত্বকালে তারই নির্দেশে ৯৯৮ হজিরি মোতাবকে ১৫৮৪ খ্রস্টিাব্দে বাংলা সনরে প্রর্বতন হয়। বাদশাহ আকবর ৯৬৩ হিজরিতে অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে (১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে) দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ৯৬৩ হিজরি অবলম্বন করেই বাংলা সন চালু করা হয়। র্অথাৎ ১, ২, ৩-এভাবে হিসেব না করে মূল হিজরি সনের চলতি বছর থেকেই বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ফলে ‘জন্ম বছরে’ই বাংলা সন ৯৬৩ বৎসর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
উল্লেখ্য, হিজরি সনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। মহানবি (সা.) স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন চালু করেননি। এটি প্রর্বতন করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে। হিজরি সনের ক্ষেত্রে যে রকম হিজরতের দিন ও মাস (১২ রবিউল আউয়াল) সুনির্দিষ্টভাবে অবলম্বন না করে শুধুমাত্র সালটিকেই (৬২২ খ্রিস্টাব্দে) সংরক্ষণ করা হয়, বাংলা সনের ক্ষেত্রেও তেমনি সম্রাট আকবররে রাজ্যভিষেকের দিন ও মাস (১৪ইং ফেব্রুয়ারি) অবলম্বন না করে শুধুমাত্র বৎসরটি (৯৬৩ হিজরি) সংরক্ষতি হয়।
হিজরি সনের প্রথমদিন হল পহেলা মহররম। বাংলা সনে তা পরির্বতন করে পহেলা বৈশাখ করা হয়। ৯৬৩ হিজরিতে মহররম মাস ও বৈশাখ মাস একই সঙ্গে আসে। ফলে, তদানীন্তন শকাব্দের প্রথম মাসটি গ্রহণ না করে হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের অর্থাৎ বৈশাখ মাসকেই বাংলা সনের মাস হিসাবে পরচিহ্নিতি করা হয়। বাংলা সনের সৃষ্টি হয় ফসল তোলার সময় লক্ষ্য করে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে সৌর বৎসর অবলম্বনে এই নতুন সন গণনা শুরু হয়। তাই, প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ‘ফসলী সন’ নামে অভিহিত হতো। ‘বাংলা’র জন্য উদ্ভাবতি বলে এটি পরবর্তী পর্যায়ে ‘বাংলা সন’ নামেও পরচিহ্নিতি হয়। উল্লেখ্যে, একইভাবে ভারতের উড়িষ্যা ও মহারাষ্ট্র প্রদেশে যথাক্রমে ‘বিলায়তী’ ও ‘সুরসান’ নামে আঞ্চলিক সনের সৃষ্টি হয়। এসব সনেরও উৎস-সন হিসেবে হিজরি সনকেই গ্রহণ করা হয়।‘
বাংলা সন মূলত: ইসলামী হিজরি সনের উপর নির্ভরশীল হলেও শকাব্দের নিকটও ঋণী। বাংলা সনে আমরা বর্তমানে দিন ও মাসের যে নামগুলো ব্যবহার করি সেগুলো শকাব্দ থেকেই গৃহীত। সপ্তাহের নামগুলো- রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ইত্যাদি গৃহীত হয়েছে গ্রহপুঞ্জ ও র্সূয থেকে। মাসের নামগুলো যেমন- বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইত্যাদি পেয়েছে নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে।
‘ফসলী সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল: কারওয়াদিন, আরদিভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ,ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অঘ্রায়ন, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র মাস নামে রূপান্তরিত হয়।
শুধু সন বা মাস নয় সপ্তাহের দিনের ক্ষেত্রে উঠে আসে সম্রাট আকবরের কথা। সেই সময় মাসের প্রতিটি দিনের জন্য পৃথক পৃথক নাম ছিল। স¤্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এ জটিল প্রথা পরিহার করে সপ্তাহের সাতটি দিনের জন্য সাতটি নাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত ঐ সাতটি নামের সঙ্গে রোমান সাপ্তাহিক নামগুলোর সাদৃশ্য সহজইে পরিলক্ষিত হয়। অনুমিত হয় যে, সম্রাট শাহজাহানের দরবারে আগত কোন ইউরোপীয় (সম্ভবত পর্তুগীজ) মনীষীর পরার্মশক্রমে মূলত গ্রহপুঞ্জ থেকে উদ্ভূত নামগুলোর প্রচলন করা হয় : (১) রবি (সূর্য)- র্সূয থেকে, (২) সোম (চন্দ্র)- Monan অর্থাৎ Moon থেকে, (৩) মঙ্গল- Mars বা মঙ্গল গ্রহ থেকে, (৪) বুধ- Mercury বা বুধ গ্রহ থেকে, (৫) বৃহস্পতি- Jupiter বা বৃহস্পতি গ্রহ থেকে, (৬) শুক্র- Frigg (বা Venus) থেকে এবং (৭) শনিবার- Saturn বা শনি গ্রহ থেকে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়- বাংলা সংস্কৃতির ওপর কালো থাবা বিস্তারে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্বপাকিস্তানে রবীন্দ্র সংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতেও পিছু পা হয়নি। সেই অন্যায় আচরণের জবাব দিতেই ১৯৬৫সালের ১৪এপ্রিল অর্থাৎ বাংলা ১৩৭২ সালের ১লা বৈশাখ ঢাকার রমনার বটমূলে বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি দিয়ে ‘ছায়ানট’ যাত্রা শুরু করে। ১৯৭২ সালে অর্থাৎ বাংলা ১৩৭৯ সালে ‘পহেলা বৈশাখ’ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পার্বণ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল বলে অনেক ইতিহাসবিদরা তাদের সংকলনে উল্লেখ করেছেন।
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমি কর্তৃক বাংলা সনের যে যুগোপযোগী সংস্কার গৃহীত হয় তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য- (১) মোঘল আমলে বাদশাহ আকবরের সময়ে হিজরী সন ভিত্তিক যে বঙ্গাব্দ প্রর্বতন করা হয় তা থেকে বছর গণনা করতে হবে। (২) বাংলা মাস গণনার সুবিধার্থে বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত প্রতি মাস ৩১ দিন হিসেবে এবং আশ্বিন থেকে চৈত্র পর্যন্ত ৩০ দিন পরিগণিত হবে। পরে আরো সংশোধিত হয়ে ১৯৮৮ সালের ১৯ জুন তারিখে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘বাংলা সন’-এর সংশোধিত রূপ স্বীকৃত হয়। সন হিসেবে ‘বাংলা সন’ নিঃসন্দেহে অতীব কার্যকর ও বিজ্ঞানসম্মত বলে বিবেচিত হয়।
ইতিহাস আর ঐহিত্য যা-ই বলুক না কেন, মনের ‘আবেগ’কে নিয়ন্ত্রিত রেখে ‘বিবেক’কে জাগ্রত করে নতুন দিনের পথচলা শুরু করা উচিৎ আমাদের সকলকে-ই। হিংসা, বিদ্বেষ, গ্লানি মুছে উদার মনে এগিয়ে চলতে হবে সব্বাইকে নিয়ে। হয়তো তবে-ই রক্ষা পাবে ‘মানুষ’ নামের ‘আসল ঐতিহ্য’।
আরিফ মাহমুদ, বিএ (অনার্স), এমএ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
সম্পাদক,
আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম,
ঢাকা।
মন্তব্য চালু নেই