ফাঁসি কার্যকরের আগে নিজেই গোসল করেন দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান। গোসলের পর এশার নামাজ ও নফল নামাজ আদায় করেন তিনি। পরে ১০টা ১৭ মিনিটের দিকে নিজেই হেটে ফাঁসির মঞ্চে যান কামারুজ্জামান।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান শনিবার এশার নামাজের ১৫ মিনিট আগে নিজেই গোসল করেন। এরপর তিনি এশার নামাজ আদায় করেন। নফল ২ রাকাত নামাজও আদায় করেন। রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ইমাম মনির হোসেন কারাগারে প্রবেশ করেন।

এরপর থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন কামারুজ্জামান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কর্মকর্তা এ সব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে সূত্র জানায়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ্যাডিশনাল আইজি (প্রিজন) বজলুল কবির কারাগারে প্রবেশ করেন। রাত আটটার পর আসেন লালবাগ জোনের ডিসি মফিজ উদ্দিন আহমেদ। এর পর পরই প্রবেশ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম (ডিবি পশ্চিম)।

রাত নয়টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জেল হোসেন ও সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা কারাগারে যান।