তওবা পড়ানো হলো কামারুজ্জামানকে

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানকে তওবা পড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মনির হোসেন। ফাঁসি কার্যকর করার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি তওবা পড়াতে হয়।

কারা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাত ৯ টার পর মাওলানা মনির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জেল সুপার কনডেম সেলে যান। ঐ সময় একজন ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে জানিয়ে দেন যে, এটাই আপনার শেষ রাত। এই রাতেই আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এখন আপনাকে তওবা পড়তে হবে।

এর আগেই কামারুজ্জামান ওজু ও খাওয়া-দাওয়া সেরে নেন। এরপর তিনি এশার নামাজ আদায়ের পর নফল নামাজ আদায় করেন।

কারা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মনির হোসেন তাকে প্রথমে বলেন, আপনার কৃত কর্মের জন্য আদালত আপনাকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। কিন্তু আপনি একজন মুসলমান ব্যক্তি। এ কারণে আপনি আল্লাহ’র এই দুনিয়ায় কৃত কর্মের জন্য তওবা করেন।

এরপর ইমাম সাহেব তাকে তওবা পড়ান। তওবা পড়ার মিনিট দশেক পর কনডেম সেলে জল্লাদরা আসেন।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন কারা চিকিৎসক আহসান হাবীব। ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন, ডিআইজি প্রিজন এবং লালবাগ জোনের ডিসি। আর ৭টা ৫৫ মিনিটে র‌্যাবের ইন্টিলিজেন্স প্রধান আবুল কালাম আজাদ কারাগারে প্রবেশ করেন। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী, জেলার নেচার আলম ও একজন সিভিল সার্জন কারাগারের ভেতরে রয়েছেন।

এদিকে ফাঁসির মঞ্চের পাশেই রাখা হয়েছে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স।

ফাঁসি কার্যকরের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন ছয়জন জল্লাদ। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন জল্লাদ রাজু। অন্যরা হলেন- পল্টু, সাত্তার, রিপন, রনি ও মাসুদ।
কারা সূত্র জানায়, জল্লাদদের এই ছয় জনের মধ্যে ফাঁসির মঞ্চে রাজু, পল্টু ও সাত্তারকে রাখা হতে পারে। তাদের মধ্যে যেকোনো একজন কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করবেন।



মন্তব্য চালু নেই