সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন

মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় সাতক্ষীরায় এক যুবলীগ নেতাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। বরং উল্টে ওই প্রভাবশালীরা তাদেরকে নানা ভাবে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। সোমবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে কাজী আব্দুস সালাম। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা কাজী সালাম বলেন, ‘মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় আমার উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। যে সংবাদটি স্থানীয় সকল পত্রিকায় ২৪ মার্চ প্রকাশিত হয়। পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমি কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু থানার দারোগা মোঃ শহিদুল্লাহ আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি মামলা এন্টি করেননি এবং বিএনপি জামাতের কর্মী আফসারুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের নিকট থেকে মোটা অংঙ্কের উৎকোচ গ্রহন করে তিনি আমার মামলা এন্টি না করে উল্টো আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। যুবলীগ নেতা কাজী সালাম বলেন ২০১৩ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কাদের মোল্লার ফাঁিসর রায়ের সময় আফসারুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম গাছ কাটা, রাস্তা কাটাসহ বিভিন্ন নাশকতার সাথে জড়িত ছিল। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের উভাকুড় গ্রামের বাবু কাজীর ছেলে কাজী রাজিবুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের মৃত ঈমান আলী গাজীর ছেলে কালু গাজী (৪০), নাজির গাজীর ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) বিভিন্ন সময়ে মাদক দ্রব্য সেবন করে এলাকায় পরিবেশ নষ্ট করছে। আমি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ মার্চ রাত আনুমানিক পৌনে ১১ টার দিকে কালিগঞ্জ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় জিরণগাছা চৌমুহনী মোড় এলাকায় পৌছালে লোহার রড, দা, বাঁশের লাঠি নিয়ে তার হামলা চালায় ওই দুর্বৃত্তরা। এতে আমি গুরুত্বর আহত হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিই। আব্দুস সালাম জানান, হামলাকারী যখন আমার উপর হামলা করে তখন গোবিন্দপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ আবু সালাত (৫৫) ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দুর্বৃত্তদের সহযোগিতা করেছিল। এছাড়া এজহারে উল্লিখিত আসামিরা জামায়াত ও বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম। এমতবস্থায় আব্দুস সালাম তার জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই