নয়নাভিরাম সূর্যগ্রহণ দেখল লাখো মানুষ

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করলো নয়নাভিরাম সূর্যগ্রহণ। গত কয়েক বছরের মধ্যে এই সূর্যগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিগ্রাহী ও মুগ্ধকর।

সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করায় শুক্রবার দিনের কয়েক মিনিট সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তবে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয় শুধু ইউরোপের একটি অংশে। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট স্থায়ী হয় সূর্যগ্রহণ। পৃথিবীর অন্য অংশের মানুষ এই সূর্যগ্রহণ ও অন্ধকারময়তা উপভোগ করতে পারেনি।

ইউরোপের স্থানীয় সময়, সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। যুক্তরাজ্যের ফারো দ্বীপে বিমান থেকে এই বিরল দৃশ্য বিবিসির ক্যামেরায় ধরা হয়।

চাঁদের অপর পাশ থেকে সূর্যকিরণ তীর্যকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে জনগণকে গ্রহণ দেখার সময় সরাসরি সূর্যের দিকে না তাকাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

Capture

উল্লেখ্য, সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে যখন সরলরেখায় চাঁদ অবস্থান করে তখন সূর্য দেখা যায় না। একে বলে সূর্যগ্রহণ।

সূর্যগ্রহণ সরাসরি দেখলে চোখের এবং শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় তা দেখার সুযোগ আছে এবং লাখ লাখ মানুষ এই বিকল্প ব্যবস্থায় শুক্রবার সূর্যগ্রহণ দেখেছে।

ইউরোপ মহাদেশের সব জায়গায় ৮৩ শতাংশ সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া এবং আটলান্টিক উপকূলে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। তবে ঘন মেঘের কারণে কোথাও কোথাও তা দেখা যায়নি। নর্থ আটলান্টিক অঞ্চলে প্রথম পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয় এবং পরে তা উত্তর ইউরোপে দেখা যায়।

২০২৬ সালের আগে ইউরোপে এ ধরনের সূর্যগ্রহণ আর দেখা যাবে না।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই