সিটি ক্লিনিক মালিক বিনামূল্যে সিজার করার মানবিক

ঝালকাঠি হাসপাতালে গর্ভবতী গৃহবধূর সিজার করা নিয়ে ডাক্তার ও যুবলীগ নেতাদের বাকবিতন্ডা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এক দরিদ্র রাজমিস্ত্রীর গর্ভবতী গৃহবধূর সিজার করা নিয়ে গাইনী ডাক্তার মৃনাল কান্তির সাথে যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখের এক দিন পর অসহায় স্বামী মোঃ বাচ্চু হাওলাদার শনিবার স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) কে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে আসলে সেখান থেকে হাসপাতাল পাঠিয়ে সেখান থেকে অপেরাশেন করাতে বাইরে নিয়ে যেতে বলায় এঘটনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ঝালকাঠি শহরের ফয়ার সার্ভিস চৌরাস্তায় নতুন প্রতিষ্ঠিত সিটি ক্লিনিক মালিকপক্ষ রফিকুল ইসলাম মিঠু ও গোলাপ মোস্তফা মানবিক কারনে বিনামূল্যে সিজার করানো ঘোষনা দিলে পরিস্তিতি শান্ত হয়। গাইনী ডাক্তার মৃনাল কান্তির সহায়তায় সিটি ক্লিনিকেই তার সিজার অপারেশনের উদ্দোগে সবাই সাধুবাদ জানায়।

দরিদ্র রাজমিস্ত্রীর মোঃ বাচ্চু হাওলাদার জানায়, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তার জহর আলীর রোগী হিসাবে তার স্ত্রী সুমি আক্তারের সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখের এক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে শনিবার সকালে সন্তান প্রসবের জন্য তার কাছে আসেন। কিন্তু মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের সিজার অপারেশন করা হয়না জানিয়ে ডাঃ জহর আলী তাদের সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার মৃনাল কান্তি রোগীর রবিবার আট্রাসোন করিয়ে রোগী ও গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে তাকে বাইরে অপারেশনের পরামর্শ দেয়।

এঅবস্থায় বাচ্চু হাং তার পূর্ব পরিচিত যুবলীগ নেতা প্রিন্স সহ কয়েকজনের স্মরনাপন্ন হলে তারা গাইনী ডাক্তার মৃনাল কান্তি কে দরিদ্র মানুষ হিসাবে হাসপাতালেই অপারেশন করানোর জন অনুরোধ করেন। তাসত্বেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ রোগীর অপারেশন না করলে যুবলীগ নেতারা ক্ষুদ্বু হয়ে হাসপাতালে জড়ো হয় ও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে দুপুর ১টায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যায়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মানষ কুমার জানায়, আসলে হাসপাতালে (এনেস্থেসিয়া) অজ্ঞান ডাক্তার না থাকায় সকল ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী একজন অজ্ঞান ডাক্তার কে মৌখিক নির্দেশে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে হাসপাতালে দেয়া হলেও তিনি নিয়মিত না আসায় এখোন পর্যন্ত অপারেশন শুরু করা যায়নি।

এ ব্যাপারে গাইনী ডাক্তার মৃনাল কান্তি জানায়, গত রবিবার থেকে তার অধীনে একটি সরকারী একটি প্রশিক্ষন কর্মসূচী শুরু হওয়া ও ঝালকাঠির নবাগত সিভিল সার্জন ঢাকায় থাকায় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের দায়িত্বও তাকে পালন করতে হওয়ায় দুদিন ধরে তিনি খুবই ব্যস্ত আছেন। তাছাড়াও অজ্ঞান ডাক্তার না থাকায় ও রোগীর সার্বিক অবস্থা সাভাবিক থাকায় তিনি অপারেশনের সময় নির্ধারন করতে পানেনি। তবে তিনি রোগীকে বাহিরে অপারেশনের পরামর্শ দেননি দাবী করেন।



মন্তব্য চালু নেই