কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি ১ এপ্রিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা ‍মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী।

আদালতে আসাপিপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মৌলভী ওহিদুল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ৮ মার্চ বিকেলে কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় চার সপ্তাহের সময় আবেদন করেন।

গতকাল ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। অবশ্য রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল আজ সোমবার থেকেই রিভিউ শুনানি শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন।

গত ৫ মার্চ মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দায়ের করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। রিভিউ আবেদন দায়ের করার পর আইননুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চারজন বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে সর্বমোট ৫৭৭ পৃষ্ঠার রায়ের কপি প্রকাশ করা হয়। ওই দিন রাতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপিসহ লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান ট্রাইব্যুনাল কর্তপক্ষ। ওই দিনই কামারুজ্জামানকে মৃত্যদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ী বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামান।

গত বছরের ৩ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সোহাগপুরে গণহত্যার দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ফাঁসির রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। রায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা বিভক্ত রায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।



মন্তব্য চালু নেই