নোয়াখালীর কিছু খবর :
সেনবাগে ২০দলের সাথে আ.লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত-১০
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ২০দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে জামায়াতের নেতা গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনবাগ বাজারের এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন- সেনবাগ পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম সোহেল, জামায়াত কর্মী আব্দুল ওহাব। আহতরা হচ্ছেন- পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজসহ ৮জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজের নেতৃত্বে সেনবাগ বাজারের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে অবরোধ-হরতালের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি সেনবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর তাদের ধাওয়া করে। এসময় তারা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
অপরদিকে, সেনবাগ ইসলামিয়া ব্যাংকের সামনে থেকে ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের বিরোধী একটি মিছিল বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে।
এসময় ২জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়। পরে ২০দলের নেতাকর্মীরা বাজারে ৩/৪টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ অবরোধ বিরোধে মিছিল বের করলে ২০দলের মিছিলের মুখোমুখি হয়ে যায়।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে বিএনপি নেতা সবুজের উপর হামলার বিষয়টি তিনি জানেন না।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, ২০দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০/১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বেগমগঞ্জে অস্ত্রসহ ১৯ মামলার আসামী গ্রেফতার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা জিরতলী ইউনিয়নের বারাইচতল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৯ মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী হারুন উর রশিদকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে, বুধবার গভীর রাতে বারাইচতল গ্রামের নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হারুন উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের বারাইচতল গ্রামের মসজিদওয়ালা বাড়ীর আবুল খায়েরের ছেলে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী হারুনের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই সহ থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
নোয়াখালীতে ১০ যানবাহনে ভাংচুর, ৫ ককটেল বিস্ফোরণ
নোয়াখালীর জেলার শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের কয়েকটি স্থানে বাস, ট্রাক, পিকআপভ্যান ও সিএনজি অটোরিকসাসহ ১০টি যানবাহনে ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। একই সাথে আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটিছে।
গতকাল মাইজদীর চৌমুহনী-মাইজদী প্রধান সড়কের স্টেডিয়াম পাড়া, মাইজদী বাজার, বিটিভি উপকেন্দ্র ও গাবুয়া এলাকায় এসব ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে, ঘটনার পর ওই সব এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালে অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত ১০টার দিকে শহরের গাবুয়া এলাকায় অর্তকিতে হামলা চালিয়ে একটি বাস, ৩টি সিএনজি অটোরিকসায় ভাংচুর করে দূর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে বিটিভি উপকেন্দ্রের সামনের প্রধান সড়কে ২টি সিএনজি অটোরিকসা ভাংচুর করে। এসময় আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এদিকে, মাইজদীর বাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি ট্রাক, একটি পিকআপভ্যান ও একটি সিএনজি অটোরিকসাসহ ৩টি যানবাহনে ভাংচুর করে। অপরদিকে, একই সময়ে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনের প্রধান সড়কে পর পর ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩টি সিএনজি অটোরিকসা ভাঙচুর করে দূর্বৃত্তরা।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, দূর্বৃত্তরা চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর করছে। তবে পুলিশের টহল আরো জোরদার করা হয়েছে। নাশকতাকারীদের ধরতে ওইসব এলাকায় অভিযান চলছে।
মন্তব্য চালু নেই